

ওয়ানডে সিরিজে খড়কুটোর মত উড়ে যাওয়া বাংলাদেশ তিন দিনের ব্যবধানে পুরো ভিন্ন মেরুর দল। নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনেই রান তুলেছে ৪১১!
ফিফটি পেলেন চারজন, দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ সাদমান ইসলামের, আশা করছেন মূল ম্যাচেও এমন পারফরম্যান্স বজায় থাকবে কারণ টেস্ট দলের বেশিরভাগ সদস্যই আগে থেকেই আছেন নিউজিল্যান্ডে। এই আগে যাওয়াটা কন্ডিশন মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে বলে জানান সাদমান।
ওয়ানডে সিরিজ শুরুর মাত্র দিন দুয়েক আগে বিপিএল খেলে নিউজিল্যান্ড পোঁছান দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের কয়জন, বাকীরাও যে খুব আগে গেছেন তাও নয়। ফলে টানা খেলা ও ভ্রমন ক্লান্তিতে বিদ্ধস্ত বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছিলো ওয়ানডে সিরিজে।
কিন্তু টেস্ট দলের সদস্যরা নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনেই অনুশীলন শুরু করেন প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার প্রায় ১৫ দিন আগে। একমাত্র দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের এক সপ্তাহ আগে থেকে তাই আজকের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য আগে থেকেই কিউই কন্ডিশনে অনুশীলন করে মানিয়ে নেওয়াকে কারণ মানছেন সাদমান। নিজেদেরর ভালো করা সম্পর্কে সাদমান জানান নিউজিল্যান্ড সিরিজেই নিয়োগ পাওয়া নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশ ব্যাটিং কোচ যথেষ্ট সাহায্য করেছেন পরিবেশ বুঝতে, দিয়েছেন কার্যকরী নির্দেশনা।

“আমাদের অনুশীলনের সময় অনেক বাতাস ছিল। এখানে সবাই বলেছে যে হ্যামিল্টন-ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলতে হলে বাতাসে মানিয়ে নিতেই হবে। ৮ দিন আগে এসেছি আমি, অনুশীলন করেছি। আমাদের ব্যাটিং কোচ বলে দিয়েছেন কিভাবে বাতাসে মানিয়ে নিতে হয়। বলেছেন একটু দেরিতে খেলতে, বল শরীরের কাছে থেকে খেলতে।”
আজকে নিউজিল্যান্ড একাদশে তারকা কিংবা অভিজ্ঞ কোন বোলার না থাকলেও যাদের বিপক্ষে খেলেছেন তারাও সহজ ছিলোনা বলে মনে করেন ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার, গতির দিক দিয়ে এরাও কোন অংশে কম নয় বলে মূল ম্যাচের জন্য আজকের ব্যাটিং হবে আত্মবিশ্বাসের খোরাক বলেও যোগ করেন সাদমান।
“আজকে ব্যাটিংয়ে খুব ভালো আত্মবিশ্বাস এসেছে যে কিভাবে খেলতে হবে এখানে। উইকেট কেমন হবে, ধারণা হয়েছে। আজেক দলের সবাই খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। ওদের পেস বোলার যাদের খেলেছি, সবাই ভালো বোলিং করে। গতিময় বোলারদের খেলেই আমরা রান করেছি। আজকে যেভাবে ব্যাটিং করেছে পুরো দল, মূল ম্যাচেও এভাবে করতে পারলে বড় একটি স্কোর গড়তে পারব। আজকে প্যাশন নিয়ে ব্যাট করেছে সবাই। আশা করি টেস্টেও এভাবে খেলতে পারব সবাই।”

আজ নিজে চেষ্টা করেছেন একদিনে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর পাশাপাশি দলের টেকনিক্যালদের নির্দেশনা মতে খেলতে। খেলেছেন, রান পেয়েছেন আশা ব্যক্ত করে গেছেন মূল পর্বেও সবাই এমন পারফর্মই করবে, “আমি আজকে চেষ্টা করেছি সেভাবেই (যেভাবে পরামর্শ পেয়েছেন) খেলতে। টেকনিক্যালি যেভাবে বলেছেন, যা দেখিয়ে দিয়েছেন, সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। একদম শেষ পর্যন্ত বল দেখে খেলার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে যে, আগে আসার কারণে মানিয়ে নিতে পেরেছি আমি। চেষ্টা করব মূল ম্যাচেও এভাবে খেলতে।”