

জোফরা আর্চার, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট যুগে পরিচিত এক নাম। গতির ঝড় তুলে ইতোমধ্যেই কাঁপিয়েছেন আইপিএল, বিপিএল, পিএসএস, বিগ ব্যাস থেকে শুরু করে কাউন্টি ক্রিকেটেও। উইন্ডিজের বারবাডোজে জন্ম নেওয়া এই পেসার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তোলার আগেই বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তবে জাতীয় দল হিসেবে উইন্ডিজ নয় ইংল্যান্ডেই পছন্দ তার। আর ইংল্যান্ডও সুযোগ লুফে নিয়েছে। নিয়ম ভেঙ্গে দ্রুতই তাকে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে দলে দেখতে চান সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক নাসের হুসাইন।
বারবাডোজে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা এই অলরাউন্ডারকে ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডও নজরে রেখেছে অনেকদিন ধরেই। আর তাকে বিশ্বকাপে রাখার জন্য বোর্ড ইংল্যান্ডে জন্ম নেয়নি এমন ক্রিকেটারদের ইংলিশ দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য নুন্যতম বসবাস মেয়াদ কমিয়েও দিয়েছে। ইংলিশ পাসপোর্ট থাকলেও ২০১৫ সালে পুরদস্তুর ইংল্যান্ডে বসবাস শুরু করতে থাকা সাসেক্সের এই ক্রিকেটার ইংল্যান্ড বোর্ডের বেঁধে দেওয়া নূন্যতম বসবাস আইনে সুযোগ পাচ্ছিলেন না ইংল্যান্ড জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার, কারণ ১৮ বছরে পর কেউ ইংল্যান্ডে কমপক্ষে ৫ বছর বসবাস না করে পাবেননা ইংলিশ জাতীয় দলে ঢোকার সুযোগ। কিন্তু গত নভেম্বরে শুধু জোফরাকে বিশ্বকাপ দলে পেতেই ইসিবি(ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড) এই বয়সসীমা নামিয়ে আনে তিনবছরে, ফলে এই জানুয়ারীতেই নির্ধারিত মেয়াদ সীমা অতিক্রম করে আর্চার।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসাইন জোফরা আর্চারকে আখ্যা দিয়েছেন ‘বিশেষ ক্রিকেটার’ বলে, এমনকি ২০১৯ বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড দলে আর্চার কে রেখে ইংলিশ শক্তি বাড়ানোর জন্যেও ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডকে আহ্বানও করেছেন। জোফরা’র নিখুঁত বোলিংয়ের পাশাপাশি লোয়ার মিডলে দলে ভালো অবদান রাখতে পারাটাই নাসেরের নজর কেড়েছে।

এদিকে চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজেই দলে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত দলে অন্তর্ভুক্তি হয়নি ২৩ বছর বয়সী এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দরজা না খুললেও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক বেশ জোর দিয়েই আর্চারকে ২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড দলে চাইছেন। গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপের ১০০ দিন গণনা অনুষ্ঠানে বিবিসি রেডিও ফাইভ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাসের জানান শেষ মুহুর্তে পরিবর্তন তার পছন্দ নয় কিন্তু সুযোগ থাকলে জোফরার মত ক্রিকেটারের জন্য সুযোগটা গ্রহন করা উচিত। জোফরাকে স্পেশাল ক্রিকেটার উল্লেখ করে তিনি জানান, “শেষ মুহুর্তের পরিবর্তন আমার পছন্দ না তবুও বলে রাখা ভালো জোফরা বিশেষ কিছু। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে যদি আপনার সুযোগ থাকে দলকে আরও ভারসম্যপূর্ন করতে তবে আমি বলবো আপনার অবশ্যই তাকে দলে নেওয়া উচিত”
২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সাথে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার পরই হতাশ ইংলিশ শিবির পরিবর্তন করে তাদের খেলার ধরণ, পুরোপুরি বদলে যাওয়া একটি দলকেই দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। ফলও পায় তারা বর্তমান আইসিসি ওয়ানডে র্যাং কিং তারই প্রমাণ , তালিকায় শীর্ষেই তাদের অবস্থান। নিজেদের ঘরের মাঠ আর গত চার বছরের সাফল্য বিবেচনায় ইংল্যান্ডকেই ২০১৯ বিশ্বকাপের দাবিদার মানছেন নাসের। ইংল্যান্ড ছাড়া ট্রফি জয়ের দাবিদার হিসেবে তিনি এগিয়ে রাখছেন ভারতকেই, “আমার জন্য কাগজে কলমে ইংল্যান্ড আর ভারতই শিরোপার দাবিদার কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে বিবেচনা করলে আরও কয়েকটি দল আছে।”