

ক্রিকেট একটি বহু পুরোনো ও জনপ্রিয় খেলা। ক্রিকেটের রয়েছে অনেক পুরোনো নিদর্শন। আর শত বছরের ক্রিকেট ইতিহাসের টুকরো কিছু স্মৃতি ধরে রাখতে টেস্ট খেলুড়ে বিভিন্ন দেশেই গড়ে উঠেছে ক্রিকেট জাদুঘর। সে যাত্রায় নতুন করে এবার নাম লেখাল শ্রীলঙ্কা।
আজ (বুধবার) সকালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের পাশেই দেশটির ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী হারিন ফার্নান্দোর পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ক্রিকেট জাদুঘর উন্মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ উপলক্ষে লঙ্কান দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন সেখানে। জাদুঘরটিতে রাখা আছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের অনেক পুরোনো স্মারক। দেশি-বিদেশি অনেক রথী-মহারথীদের অর্জন, ব্যবহারিক ক্রিকেট সামগ্রী স্থান পেয়েছে জাদুঘরটিতে।
দেখে নেওয়া যাক শ্রীলঙ্কার জাদুঘরটি উন্মুক্ত করার সময়কার কিছু ছবিঃ
ছবিঃ ডেইলি মিরর
তবে শ্রীলঙ্কার মত পৃথিবীর অন্যান্য ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের প্রায় সবখানেই এমন জাদুঘর থাকলেও এই দিক দিয়ে বেশ আক্ষেপে পুড়তে হয় বাংলাদেশি সমর্থকদের। তবে সেই আক্ষেপ কিছুটা হলেও মিটানোর চেষ্টা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট সাপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ‘বিসিএসএ’। সংগঠনটি তাদের সংগৃহীত ক্রিকেট উপাদান দিয়ে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে টানা দু’বছর রাজধানীর দৃক গ্যালারীতে আয়োজন করেছিলো ক্রিকেট ফেস্টিভ্যাল। মাঝে এক বছরের বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালে আবার আয়োজন করে ঢাকার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরে।
সেই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর, মোট চারদিনব্যাপী এই উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘ক্রিকেট স্মারক প্রদর্শনী’। যেখানে দেশের ও বিদেশের ক্রিকেটের নানা দুর্লভ সংগ্রহ দর্শকরা উপভোগ করেছেন একদম কাছ থেকে। এছাড়াও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হওয়া বীরবিক্রম শহীদ আবদুল হালিম চৌধুরী জুয়েলের ব্যবহৃত ব্যাটটি রাখা হয়েছিলো প্রদর্শনের জন্য।
২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ব্যতিক্রমধর্মী এমন উৎসবের আয়োজন করে ‘বিসিএসএ’ প্রশংসা কুড়িয়েছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উদ্যোগে একটা ক্রিকেট জাদুঘরের দাবিতে সমর্থকদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বিসিএসএ সভাপতি জুনায়েদ পাইকার বলেন, ‘একটা ক্রিকেট জাদুঘর আমাদের দেশের সমর্থকদের প্রাণের দাবি। অতীতে কোন কারণে সেইটা না হলেও আশা রাখছি পূর্বাচলে প্রস্তাবিত নতুন মাঠ, শেখ হাসিনা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সাথে একটা ক্রিকেট জাদুঘরও রাখবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।’