

নিউজিল্যান্ড সফর কখনোই সুখকর হয় বাংলাদেশের জন্য। কিউই ডেরাতে পা রেখে এখনো জয়ের মুখ দেখা হয়নি বাংলাদেশ দলের। এবারও একই পরিণতি, ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুইটাতেই রীতিমত বিধ্বস্ত সফরকারীরা। তার সাথে দলে আবার দেখা দিয়েছে ইনজুরি সমস্যা। যার ফলে তৃতীয় ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন আগের দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে দলের হাল ধরা মোহাম্মদ মিঠুন, খানিক উন্নতি হলেও আগামী ম্যাচে মাঠে নামার বিষয়ে এখনো অনিশ্চিতার মধ্যে থাকতে হচ্ছে মুশফিকুর রহিমকে।

দল হারছে, সিরিজ খুইয়ে কোন মতে ধবল ধোলাই এড়ানোর ভাবনা টিম বাংলাদেশের। নিয়মিত ব্যর্থ হচ্ছে দলের টপ অর্ডার, দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে এই টপ অর্ডার ব্যর্থতা। অথচ স্রোতের বিপরীতে দলের জন্য লড়াই করেছেন মিঠুন, দুই ম্যাচেই তার ব্যাটে ভর করে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে চলাকালীন সময়েই হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন তিনি। মাঠে অবস্থা অত গুরুতর না হওয়ায় ঠিকই খেলা চালিয়ে গেছেন।
তবে পরে প্রাথমিক পরীক্ষার পরই জানা গিয়েছিল শেষ ওয়ানডেতে মোহাম্মদ মিঠুনের খেলার সম্ভাবনা সামান্য। স্ক্যান করানোর পর আনুষ্ঠানিকভাবেও জানা গেল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে তো বটেই, অন্তত সপ্তাহ দুয়েকের কাছাকাছি মাঠের বাইরে চলে যেতে হলো তাকে। একই সাথে পাঁজরবে চোটে ভোগা মুশফিকুর রহিমের উন্নতি হয়েছে খানিক, স্ক্যান রিপোর্টে কিছু ধরা না পড়লেও এখনই নিশ্চিত নয় আগামীকাল এই উইকেটরক্ষকের মাঠে নামার বিষয়টা।
দুই ক্রিকেটারের চোটের সবশেষ অবস্থা জানাতে যেয়ে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘মিঠুনের অবস্থা ভালো নয়। বেশ কিছুদিন সময় লাগবে, ১০ থেকে ১২ দিন লাগবে পারে ঠিক হতে। যার কারণে শেষ ওয়ানডে তার খেলা হচ্ছে না। প্রথম টেস্ট ম্যাচের আগে ফিট হবে বলে আশা করছি।’
সাথে মুশফিকের অবস্থা জানাতে যেয়ে তিনি বলেন, ‘মুশফিকের অবস্থা এখন ভালোর দিকে। স্ক্যান রিপোর্টে কিছু ধরা পড়েনি। আজকে অবশ্য সেভাবে অনুশীলন করেনি। ম্যাচের দিন সকালে ওয়ার্ম-আপের সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কতখানি ফিট, সেটি দেখেই সিদ্ধান্ত হবে।’