

কাশ্মীর হা-ম-লার উ-ত্তা-প যেন থামছে না কিছুতেই, তার আঁচটা বেশ ভালোভাবে এসে পড়েছে মাঠের ক্রিকেটে। যার জন্য এবার খানিক হু-ম-কির মুখে পড়তে হচ্ছে চলমান পাকিস্তান সুপার লিগকে! টুর্নামেন্টটির ব্রডকাস্টিং ও প্রেডাকশনের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ভারতের রিলায়েন্স গ্রুপ। এবার তারা সরে আসল পিএলএল সম্প্রচার থেকে।
পাশাপাশি অবস্থানরত দুই দেশ ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রে-ষা-রে-ষি হয়ে আসছে কাশ্মীর-কে নিয়ে। সেই কাশ্মীরকে ঘিরে এবার যেন পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে আরও উ-ত্ত-প্ত। ফের র-ক্তা-ক্ত হয়েছে ভূস্বর্গ। দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার অবন্তীপোরা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার ভয়াবহ আ ই ই ডি (ইম্প্রোভাইজড এ-ক্স-প্লো-সি-ভ ডিভাইস) বি-স্ফো-র-ণে মৃত্যু হয়েছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) অন্তত ৩৭ জন সদস্যের।
ওই ঘটনাতে আহতের সংখ্যা অন্তত ৪০ ছাড়িয়েছে। যত সময় এগোচ্ছে সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যেটাকে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছে স্বাধীন ভারতে গত কুঁড়ি বছরে সবচেয়ে মারাত্মক উ-গ্র-প-ন্থী হা-ম-লা। এরই মধ্যে সেই ঘটনার জন্য দায় স্বীকার করেছে বিশেষ এক জ-ঙ্গী গোষ্ঠী। তবে ভারতীয়দের দাবি এই হা-ম-লার সাথে আতাত আছে পাকিস্তানের।
এর জেরে এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইএমজি-রিলায়েন্স। টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক দিনের মাথায় তারা চলতি পিএসএলে সম্প্রচারের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) এই মর্মে একটা মেইলও পাঠিয়ে দিয়েছে রিলায়েন্স।
রিলায়েন্সের পাঠনো সেই মেইল পৌঁছে গেছে পিসিবি ও পিএসএলের জেনারেল ম্যানেজার মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস শোয়েব শেখের কাছে। এই একই মেইল গিয়েছে কামিল খানের কাছে। যিনি পিসিবি-র ডিজিটাল মিডিয়া স্পোর্টস প্রোডাকশন ও মার্কেটিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার।
তারা জানিয়েছে রিলায়েন্সের মেইলে লেখা হয়েছে, ‘কয়েক দিন আগে এক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় ভারতীয় সেনারা প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার জেরে আইএমজি-রিলায়েন্স অবিলম্বে পিএসএল থেকে ব্রডকাস্ট প্রোডাকশন সার্ভিস তুলে নিচ্ছে।’
এই মেইলের প্রাপ্তি স্বীকার করে পিসিবি একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েছে। তাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান জানিয়েছেন, ‘আমাদের আইএমজি-রিলায়েন্স জানিয়েছে যে, তারা আমাদের সঙ্গে বাকি টুর্নামেন্টে থাকবে না। এরকম আচমকা ঘটনায় বিকল্প পরিকল্পনাও পিসিবি-র হাতে থাকে। আমরা আশা করছি সোমবারের মধ্যে নতুন পার্টনারের নাম ঘোষণা করতে পারব।’
এর সঙ্গে ওয়াসিম আরও জানিয়েছেন, ‘পিসিবি সবসময় বিশ্বাস করে যে, খেলা ও রাজনীতি দুইটাকেই পৃথক ভাবে দেখা উচিৎ। ইতিহাস বলছে, খেলার হাত ধরে দুই দেশের মানুষের মধ্যে একটা সমন্বয় স্থাপিত হয়েছে। বিশেষত ক্রিকেটের ক্ষেত্রে।’
ভারতে পিএসএল সম্প্রচারের দায়িত্বে ছিল ডি স্পোর্টস। তারাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই টুর্নামেন্ট তারা সম্প্রচার করবে না। আর এই ঘটনার পরেই রিলায়েন্স তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।