

বাংলাদেশের মানুষের কাছে গত কয়েক বছরে আইপিএল মানেই সাকিব-মুস্তাফিজ। বলা যায় অনেকটা তাদের দুজনের জন্যই টিভি সেটের সামনে আইপিএলের খেলা দেখতে বসেন এদেশের লাখ লাখ ক্রিকেট সমর্থক। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আইপিএল খেলার অনুমিত পাননি মুস্তাফিজ, অন্যদিকে সাকিব পেলেও খেলা না খেলার বিষয়টা সম্পূর্ণ তার উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সাকিব না খেললে এবার বাংলাদেশিরা আইপিএল দেখবে কিনা সে ব্যাপারেও বিসিবি বসের রয়েছে শঙ্কা।

২০১১ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স দিয়ে সাকিবের আইপিএল মিশন শুরু, নিজের পারফরম্যান্স গুণে একই দলে খেলেছেন টানা ৭ বছর। এরমধ্যে অনেক খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিলেও সাকিকে ঠিকই রেখে দিত কলকাতা। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে সাকিবও দিয়েছেন তার প্রতিদান।
অনেক বছর বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র প্রতিনিধত্ব করা সাকিবের সাথে ২০১৬ সাল থেকে যোগ দেন মুস্তাফিজুর রহমান। সানরাজার্স হায়দ্রাবাদের হয়ে বল হাতে অসাধারন পারফর্ম করে সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জেতেন মুস্তাফিজ। যদিও গতবছর দুজনকেই ছেড়ে দেয় কোলকাতা ও হায়দ্রাবাদ। মুস্তাফিজের ঠিকানা হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে অন্যদিকে সাকিবের হায়দ্রাবাদে।

এবার অনুমতি না পাওয়ায় আর নিজের অনাগ্রহের কারণে খেলোয়াড় ড্রাফটে নামই উঠেনি মুস্তাফিজের, সাকিব আছেন হায়দ্রাবাদেই। কিন্তু ইনজুরির কারণে নিউজিল্যান্ড সফর মিস করা সাকিবের আইপিএল খেলা না খেলা পুরোটাই বোর্ড ছেড়ে দিয়েছে সাকিবের উপরই। সাকিবের অনেক আগ্রহের কারণেই বিসিবি বাধা না দিলেও বিশ্বকাপ সামনে বিবেচনায় রেখে খেলার ভার তার উপরেই দিচ্ছে বিসিবি, আর খেললেও সতর্ক থেকেই খেলার অনুরোধো করেছেন নাজমুল হাসান পাপন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, মুস্তাফিজ আইপিএল খেলবে না। সাকিব খেলবে কি না এ নিয়ে কথা হচ্ছে। এখানে দেখতে হবে সে কী চায়। কারণ, সে আইপিএল খেলতে খুবই আগ্রহী।’

মুস্তাফিজ নেই, সাকিবও যদি শেষ পর্যন্ত না খেলেন তবে বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা কমবে আইপিএলের মন্তব্য করে পাপন আরো যোগ করেন ‘সাকিব খেললেও সতর্কতার সাথেই খেলবে, যদি সে না খেলে তাহলে আমার সন্দেহ বাংলাদেশের মানুষ আইপিএল দেখবে কিনা। কারণ সবাই এখানে আইপিএল দেখে সাকিব আর মুস্তাফিজের কারণে। আমার মনে হয় সে সতর্ক থাকবে। এছাড়া আর কী বলতে পারি।’