

সাকিব আল হাসানকে ছয় মারার পর তার সমর্থকরা বেশ খুশি হয়, কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাকিবকে ছক্কা মারার পর উইকেট বিলিয়ে দিতে দেখা যায় ব্যাটসম্যান-কে। তবে ছক্কা খেয়ে সাকিব খুশি হন বলে জানা না গেলেও ভারতীয় চায়নাম্যান বোলার কুলদ্বীপ যাদব বলছেন ব্যাটসম্যান ছক্কা মারলেই তিনি খুশি হন। সব বোলারই যেখানে ছক্কা তো দূরে থাক, ১ রান দিতেও রাজি না, সেখানে কুলদ্বীপ কেন উল্টো পথে? ভারতীয় এই বোলার নিজেই জানিয়েছেন এর কারণটা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কুলদ্বীপ জানান, উইকেটে ফ্লাইট দিয়ে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানোই তার মূল অস্ত্র। উইকেটের জন্য তিনি অপেক্ষা করেন ব্যাটসম্যান কখন আক্রমণে যাবে। লম্বা ছক্কা হাঁকাতে গেলেই কুলদ্বীপ লুফে নেন সেই সুযোগ। দুই-একটা ছক্কা হজম করলেও বেশিরভাগ সময়ই সফলতা পেতে দেখা গেছে ভারতীয় দলের অন্যতম এই সদস্যকে।
ব্যাটসম্যানকে নিজের মত করে বেঁধে ফেলতে পারাটাই নিজের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে কুলদ্বীপ বলেন, ‘ব্যাটসম্যানকে নিজের মতো করে আটকানোই আমার লক্ষ্য। কোন ব্যাটসম্যান যখন আমাকে ছক্কা হাঁকায় তখন আমি খুশি হই। কারণ এটি আমাকে উইকেট নেয়ার সুযোগ করে দেয়। বল টার্ন করানো এবং ফ্লাইট দিয়ে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানানো আমার মূল শক্তি। আমি এই কাজটা নিয়মিতই করি।’
যেকোনো উইকেটেই যে কুলদ্বীপ সফল সে ব্যপারে সাফাই গাইবে তার দারুণ পরিসংখ্যান। মাত্র ৬ টেস্টে নিয়েছেন ২৪ উইকেট, ৩৯ ওয়ানডেতে ৭৭ ও ১৮ টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের মধ্যে আছেন শীর্ষ দুইয়ে, ওয়ানডেতে চারে! উইকেট-কে ভাবনায় না রেখে যেকোনো উইকেটেই নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করা এই ক্রিকেটার জানান ফ্লাইটের উপরই তার মূল প্রভাব।
নিয়মিতই ফ্লাইট দিয়ে বল করেন উল্লেখ করে কুলদ্বীপ আরো যোগ করেন, ‘একটা কথা প্রচলিত রয়েছে যে উইকেট যতোই ফ্ল্যাট হোক, আপনি বলকে যতো ফ্লাইট করাবেন তত বেশি সম্ভাবনা থাকবে উইকেট পাওয়ার। আপনি যদি ফ্ল্যাট উইকেটে জোরের ওপর বোলিং করেন তবে সেটা ব্যাটসম্যানকেই সাহায্য করে। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি ল্যুপ দিয়ে বোলিং করার।’