

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে এই দুজনের পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের সতেজ রাখতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ থেকে আগেই বিশ্রাম চেয়েছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। চোটে পড়ে খেলারই বাইরে আছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ ক্রিকেটারের মধ্যে বাকি দুইজন মাশরাফি মর্তুজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ প্রিমিয়ার লিগের একটা পর্যায় থেকে অংশ নেবেন। অনুমিত ভাবেই সিনিয়র এই দুই ক্রিকেটারই এবার পাচ্ছেন সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক।
এবার মোট সাত ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। তবে পারিশ্রমিকে হেরফের আছে অভিজ্ঞতা আর পারফরম্যান্সের বিচারে। এ প্লাস ক্যাটাগরিতে কেবল মাশরাফি আর মাহমুদউল্লাহই পাবেন ৩৫ লাখ টাকা করে।
জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা প্রিমিয়ার লিগে আদৌ খেলতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে রাজ্যের সংশয়। নিউজিল্যান্ড সফরে শেষে দেশে ফেরার পর ক্রিকেটারদের বিশ্রাম দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ স্টিভ রোডস। জুনেই খেলতে হবে ইংল্যান্ডের অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ মাথায় রেখেই প্রিমিয়ার লিগের ড্রাফট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য আবেদন করেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্লেয়ার্স বেচা-কেনার আসর শুরুর আগেই নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক। তবে ক্যাটাগরি ঠিক হলেও পারিশ্রমিকে তারতম্য রয়েছে।
‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরি থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ পাবেন ৩৫ লাখ টাকা। তবে একই ক্যাটাগরিতে থেকে এনামুল হক পাবেন ২৬ লাখ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনরা পাবেন ২৫ লাখ টাকা করে। তবে নাসির হোসেন পাবেন ২৩ লাখ টাকা।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকা মুমিনুল হক সৌরভ, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মিঠুনরা পাবেন ২৩ লাখ টাকা করে। একই ক্যাটাগরিতে থেকে নাজমুল ইসলাম অপু, সাব্বির রহমান রুম্মন ও সানজামুল ইসলাম পাবেন ২০ লাখ টাকা।
‘বি’ ক্যাটাগরিতে থাকা তাসকিন আহমেদ এবং সৌম্য সরকার পাবেন ১৮ লাখ টাকা করে।
বিকেএসপি নিয়েছে যুবদলের তিন ক্রিকেটার আকবর আলি, শামিম হোসেন ও পারভেজ হোসেনকে। তারা তিনজনই পাবেন সাড়ে তিন লাখ টাকা করে।