শঙ্কা তৈরি হয়েছে শেষ ম্যাচে মুশফিক-মিঠুনের খেলা নিয়ে

ban pak
Vinkmag ad

কোন প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই নিউজিল্যান্ড সফর। সিরিজ শুরুর আগেই দলের গুরুত্বপূর্ণ দুই খেলোয়াড় সাকিব-তাসকিনের ছিটকে যাওয়া। তড়িঘড়ি করে মাঠে নামা। সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাজে ভাবে হেরে সিরিজ খোয়ানো। বলতে গেলে নিউজিল্যান্ড সফর এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে দিয়েছে একরাশ হতাশা। এই হতাশার মিছিলে নতুন করে যোগ হল সফরে নিজেদের একমাত্র সফল ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের সাথে মুশফিকুর রহিমের ইনজুরি।

280709 e1537975788238
ফাইল ছবি

দল হারছে, সিরিজ খুইয়ে কোন মতে ধবলধোলাই এড়ানোর ভাবনায় টিম বাংলাদেশ। নিয়মিত ব্যর্থ হচ্ছে দলের টপ অর্ডার, দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে এই টপ অর্ডার ব্যর্থতাই। অথচ স্রোতের বিপরীতে দলের জন্য লড়াই করেছেন মিঠুন, দুই ম্যাচেই মিঠুনের ব্যাটে ভর করে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচে বাংলাদেশ। গতকাল ম্যাচ চলাকালীন সময়েই হ্যামেস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়েন তিনি। মাঠে অবস্থা অত গুরুতর না হওয়ায় ঠিকই খেলা চালিয়ে গেছেন।

তবে শঙ্কা রয়ে গেছে। পরিস্থিতি জানতে গতকালই (শনিবার) করানো হয় স্ক্যান, আজ স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই তার সর্বশেষ অবস্থার কথা বলা যাবে। দুর্ভাগ্যক্রমে মিঠুনের চোট গুরুতর হওয়া মানে বাংলাদেশের জন্য মরার উপর খাঁড়ার ঘা। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পরাজয় এড়ানোর মিশনে বড় ভরসার নাম যে মিঠুন! টানা দুই ম্যাচেই ফিফটি করা মিঠুনেই যে বাংলাদেশের ইনিংসটা ভদ্রস্থ হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ৫ রান করলেও ২য় ওয়ানডেতে মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিক আশা জাগিয়েও হতাশ করেছেন। কিউই বোলারদের সামলে উইকেটে থিতু হয়েও পারেননি নিজের ইনিংস লম্বা করতে, থেমেছেন ২৪ রানে। তবে যেকোনো ম্যাচে মুশফিক দাঁড়িয়ে গেলে দল কতটা স্বস্তিতে থাকে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কাল ইনজুরিতে ভোগেন মুশফিকুর রহিমও। মুশফিকের সেই পুরোনো পাজরের ব্যথা। তার চোটের উন্নতি-অবনতির অবস্থাও জানা যাবে স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই।

DoB7CQRWkAABayr

দলের এই দুঃসময়ে এদের দুজন কিংবা দুজনের একজনকেও মিস করা হবে বাংলাদেশের জন্য হতাশার কারণ। তবে তৃতীয় ওয়ানডের আগে তিনদিন সময়ও পাচ্ছে বাংলাদেশ। চোট, অনুশীলন, পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়াসহ গুছিয়ে ওঠার জন্য নিতান্ত কম সময়ও নয়। সিরিজ হেরে গেলেও এই সফরেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ জয়ের সুযোগ শেষ হয়ে যাচ্ছেনা।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী ডনোডিনে শেষ ম্যাচটি জিতে অন্তত সে আক্ষেপ টাইগাররা ঘোচাতে পারে কিনা সেটা সময়ই বলে দিবে। তবে আপাতত ইনজুরি মুক্ত একটা দল নিয়ে নামতে পারাটাই যে বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাশরাফি বাহিনীর জন্য।

৯৭ প্রতিবেদক

Read Previous

ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করলেন পল ফারব্রেস

Read Next

মাহমুদউল্লাহকে আইসিসির শাস্তি, ভিন্ন কারণে সঙ্গী হয়েছেন বোল্ট

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Total
0
Share