

মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দেখিয়ে দিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজটা শুধু হারেই-নি রীতিমত উড়ে গেছে বলা যায়। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চারটিতেই হার, অথচ ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে পেয়ে এবার নিজেরাই উড়িয়ে দিচ্ছে। অন্তত প্রথম দুই ম্যাচ যে নূন্যতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি টাইগাররা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক জানালেন ভারতের বিপক্ষে করা ভুলগুলো শুধরে নিয়ে ফল পাচ্ছেন এই সিরিজে।
মাত্রই শেষ হওয়া ভারত সিরিজে নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে ম্যাচগুলো হেরেছে বেশ বড় বড় ব্যবধানেই। অনেকটা কিউইদের নিয়ে যেন ছেলেখেলা করেছিলো ভিরাট কোহলির দল। আবার এদিক প্রথম দুই ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে অনেকটা বিধ্বস্তই করে ফেলেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ব্যাপারটা তাই চোখ এড়ায়নি সংবাদকর্মীদের কিংবা উপস্থাপকদেরও। এত দ্রুত কীভাবে বদলে গেলো পুরো দল? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিতেই কিউই অধিনায়ক জানালেন ভারত সিরিজের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করেছেন, যতটা সম্ভব শিক্ষা নিয়ে ফলও পাচ্ছেন মাঠে।
উইলিয়ামসন বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজে হার থেকে ছেলেরা উপযুক্ত শিক্ষা নিয়েছে। আসলে এটিই মূল কারণ। ওই ধরনের সিরিজ থেকে শিখতেই হবে। আমরা দারুণ পারফর্ম করেছি। সবাই নিজের দায়িত্বটা ভালোভাবে পালন করেছে।’
ভারতের বিপক্ষে চার ইনিংসে সর্বসাকুল্যে ৪৭ রান করা নিউজিল্যান্ড ওপেনার মার্টিন গাপটিল বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই তুলে নিলেন ২৩৫ রান। টানা দুই সেঞ্চুরিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন একাই। অন্যদিকে দুই ম্যাচেই ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। শুধু ব্যর্থ বললে কমই হয়ে যায়, চরম ব্যর্থ টপ অর্ডারই মূলত দুই দলের পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে।

নিউজিল্যান্ড দলের যেই ব্যাট হাতে নামছেন দারুণ সমর্থন জুগিয়ে গেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা গাপটিলকে। গাপটিল কুড়িয়েছেন অধিনায়কের প্রশংসা। নিজেরাও ক্রিজে গাপটিলকে নিজেদের সেরাটা দিয়েই সমর্থন দিয়েছেন বলেও জানান কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এদিকে ঘরের মাঠের আদর্শ সুবিধাটাই এবার ভালোভাবে পাচ্ছেন তুলে ধরে উইলিয়ামসন বলেন, ‘আমরা হালকা মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশন পেয়েছি। উইকেট কিছুটা আমাদের পক্ষে ছিল। বাংলাদেশের শুরুর উইকেটগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। গাপটিল অসাধারণ খেলেছে। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। টানা দুটি সেঞ্চুরি প্রকৃত অর্থেই দুর্দান্ত। ছেলেরা তার সঙ্গে খেলেছে এবং জুটি গড়েছে। আমিও সোজা খেলতে চেয়েছি। ওকে ওর মতো খেলতে দিতে চেয়েছি। আমরা সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম।’