

বাংলাদেশের বিপক্ষে চলমান এই সিরিজ দিয়েই চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনার মার্টিন গাপটিল। সেই গাপটিলেই হলো সর্বনাশ! ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের শতকের উপর ভর করে নেপিয়ারে প্রথম ওয়ানডেটা জিতে নিয়েছিলো স্বাগতিকরা। ক্রাইস্টচার্চেও হলো একই চিত্রের পুনরাবৃত্তি। আজও তুলে নিলেন নিজের শতকটা। আর এতেই সমান ৮ উইকেটের ব্যবধানে ম্যাচ হেরে ১ ম্যাচ হাতে থাকতেই ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা হারিয়ে বসলো বাংলাদেশ।

এদিন সফরকারীদের দেওয়া ২২৭ রানের টার্গেটের জবাব দিতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করেন কিউইদের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলাস। উদ্বোধনি জুটিতে দুজন যোগ করেন ৪৫ রান। ব্যক্তিগত ১৪ রানে থাকা হেনরিকে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি আনেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর দিনটা নিজের করে নিয়েছেন গাপটিল, উইকেটে বাকিটা সময় তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৩২ রানের জবাব দিতে নেমে ১১৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন গাপটিল। আজ যেন শুরু করলেন সেখান থেকেই। হেনরি নিকোলাসের আউটের পর ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ হাত খুলে খেলতে থাকেন ৩২ বছর বয়সী ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ৭৬ বলে ১১টা চার ও ৪টা ছয়ের সাহায্যে তুলে নেন সিরিজে নিজের ‘ব্যাক টু ব্যাক’ শতকটা, যেইটা আবার এই ফরম্যাটে সবে মিলে নিজের ১৬ তম।
এরপর অবশ্য ইনিংসটাকে আর বেশি বড় করতে পারেননি তিনি, মুস্তাফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেছেন ১১৮ রান করে। গাপটিল আউট হয়ে গেলেও ম্যাচ জয়ের জন্য একেবারেই বেগ পেতে হয়নি কিউইদের। পরে রস টেইলরকে সাথে নিয়ে নিজের অর্ধশতকটা পূর্ণ করে ৮ উইকেটে দলের জয়ের সাথে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ম্যাচে রস টেইলর ২১ ও উইলিয়ামসন অপরাজিত থাকেন ৬৫ রান নিয়ে।
এর আগে সিরিজ বাঁচানোর মিশনে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের। দলীয় ১৬ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর উইকেটে থিতু হয়েও নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম, সৌম্য ২২ ও মুশফিক ফিরেছেন ২৪ রান করে।
সেখান থেকে গত ম্যাচে নিজেদের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার মোহাম্মদ মিঠুনের ৫৭ রানের সাথে সাব্বির রহমানের ৪৩ ও শেষদিকে অধিনায়ক মাশফির ১৩ রানে কল্যাণে অল আউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ২২৬ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাসেশ দল।