

নেপিয়ার থেকে ক্রাইস্টচার্জ, মাঝে সময় গেছে দুদিন। এতে যে শুধু শহরের সাথে মাঠটাই বদল হলো, বাংলাদেশ দলের ভাগ্য বদল হলো কই! নিউজিল্যান্ড সফর একেবারই সুবিধাজনক হয় না টাইগারদের জন্য, সেই ধারা অব্যাহত ছিলো চলমান ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটাতেও। নেপিয়ারে ব্যাটিং দুর্দশাতে ম্যাচটা হারতে হয়েছিলো ৮ উইকেটের ব্যবধানে। ক্রাইস্টচার্চের এসেও নিজেদের সংশোধন করলেন না টাইগার ব্যাটসম্যানরা, নামলেন আত্মাহুতির মিছিলে!

বৃষ্টি বিঘ্নিত সকালে ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভাল মাঠে সিরিজ বাঁচানোর মিশনে শুরুর ভাগ্যটাও কথা বললো না বাংলাদেশের হয়ে, হারতে হলো টসে। যেই টস জিতে প্রতিপক্ষকে আগে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানাতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, টস হেরে সেই পরিণতি বরণ করতে হলো তার দলকেই। পরে দলের হয়ে লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংসের গোড়পত্তন করতে আসলেন তামিম ইকবাল। যার শুরুটা মোটেও জুতের হল না সফরকারীদের। বোল্ট-হেনরিদের আগুনে বোলিংয়ে খোলসবন্দী হয়ে পড়লেন দুই ব্যাটসম্যান।
ধৈর্যটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারলে না লিটন দাস, রানের ক্ষুধা পেয়ে বসলো তার। ট্রেন্ট বোল্টকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে ধরা পড়লেন ফার্গুসনের হাতে, প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও লিটনকে ফিরতে হলো ১ রানের মাথায়। এর ১৬ রান পরে ২৮ বলে ৫ রান করে উইকেট কামড়ে ধরে থাকার চেষ্টা করে যাওয়া তামিমকে সাজঘরের পথ দেখালেন হেনরি। এরপর সৌম্য আর মুশফিক মিলে আস্থা জোগাচ্ছিলেন ভালোই, তবে এদিনও থিতু হয়ে নিজের উইকেটটা বিসর্জন দিয়ে আসলেন সৌম্য। ২২ রানে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে ফিরে যেতে সাহায্য করলেন গ্র্যান্ডহোম।
সৌম্যের আউটের সময় উইকেটে ছিলেন নিজের ২০০ তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম। ৫ আর ১৪ রানে দুবার জীবন ফিরে পাওয়া মুশফিকও হাঁটলেন প্রথম ওয়ানডের পথেই, থামলেন মোটে ২৪ রানে। এরপর ৬ নম্বরে ব্যাট করতে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যক্তিগত ৭ রানে আউট হয়ে গেলে ৯৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে আজও নিজের কাঁধটা চওড়া করে দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন, সাব্বির রহমানকে নিয়ে শুরু করলেন ইনিংস মেরামতের কাজ।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনের ৭৫ রানের পার্টনারশিপের ফাঁকে নিজের টানা দ্বিতীয় অর্ধশতকটা তুলে নেন মিঠুন। ৬৫ বলে ৬টা চার ও ১টা ছয়ের সাহায্যে এই ফরম্যাটে নিজের চতুর্থ অর্ধশতক পূরণ করা ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পরে অবশ্য দাঁড়াতে পারেননি বেশিক্ষণ, ৪ বল পরেই ফিরেছেন ব্যক্তিগত ৫৭ রানের মাথায়। মিঠুনের আউটের পর নতুন ব্যাটসম্যান হিসাবে উইকেটে আসেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ, ১৬ রান করে তিনিও একই পথের সারথি হলে ১৯০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

শেষদিকে ৬৫ বলে ৭টা চারের সাহায্যে ৪৩ রান করা সাব্বির রহমানের সাথে মাশরাফির ১৩ ও সাইফউদ্দিনের ১০ রানের কল্যাণে অল আউট হওয়ার আগে স্কোরবোর্ডে ২২৬ রান তোলে বাংলাদেশ দল।