

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামীকাল শনিবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচটি বাংলাদেশের সিরিজে টিকে থাকার লড়াই। তবে মুশফিকুর রহিমের কাছে আরেকটু বেশি কিছু। অপেক্ষায় তার দারুণ এক মাইলফলক। বাংলাদেশের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০তম ম্যাচ খেলতে নামবেন তিনি।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে শুধুমাত্র বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাই ২০০ ম্যাচ খেলেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই মাইলফলকে পা রাখেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। এবার তার পাশে বসবেন মুশফিক।
মুশফিকের পর ২০০ ওয়ানডে খেলার সবচেয়ে কাছাকাছি থাকবেন সাকিব। চোটের কারণে এই সফরে না থাকা অলরাউন্ডার খেলেছেন ১৯৫ ওয়ানডে, তামিম ইকবাল খেলেছেন ১৮৭টি।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয় মুশফিকের। এরপর থেকেই দলের নিয়মিত সদস্য তিনি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবেই দলের অপরিহার্য খেলোয়াড় হয়ে উঠেন মুশফিক। ২০১১ সালে আরও বড় দায়িত্ব পান তিনি।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মনোনিত হন মুশফিক। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেস্ট দলের অধিনায়ক থাকলেও, ২০১৪ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব থেকে মুশফিককে সরিয়ে দেয়া হয়।
তারপরও দলের ব্যাটিং লাইন-আপের মেরুদণ্ড মুশফিক। কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও দলকে বহু ম্যাচে লড়াইয়ে ফিরিয়েছেন তিনি। এমনকি কিছু ম্যাচে জয়ের কাজটা দায়িত্ব নিয়েই সেরেছেন ৩১ বছর বয়সী মুশফিক।
এখন পর্যন্ত ১৯৯ ওয়ানডেতে ৬টি সেঞ্চুরিতে ৫৩৫১ রান করেছেন মুশফিক। ব্যাটিং গড় ৩৪ দশমিক ৭৪। উইকেটের পেছনে ১৬৪টি ক্যাচ ও ৪২টি স্টাম্পিং করেছেন মুশফিক। এছাড়াও ৬৬টি টেস্টে ৪০০৬ রান ও ৭৭টি টি-টোয়েন্টিতে ১১৩৮ রান করেছেন মুশফিক।
মুশফিকের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ২০১১ সালে, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সবশেষ সেঞ্চুরিটি করেছেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে দুবাইয়ে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সে ম্যাচের ১৪৪ রান তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।