

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সব থেকে বড় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ২০১৭-২০১৮ মৌসুমের খেলা শেষ হয়ে এবার মাঠে গড়ানোর অপেক্ষায় নতুন আরেকটা মৌসুম। পেশাদার অনেক ক্রিকেটারেরই এই টুর্নামেন্ট সারা বছরের রুটিরুজি হলেও গত বছরের টাকাই এখনো পাননি অনেক খেলোয়াড়, এর মধ্যে চলতি মাসে আবার শুরু হচ্ছে নতুন আরেকটি মৌসুমের খেলা।
টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী প্লেয়ার্স বাই চয়েস পদ্ধতিতে সিসিডিএম’র নির্দেশনামতে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ড্রাফটে থাকা প্লেয়ারদের মোট পারিশ্রমিকের ৫০ ভাগ, টুর্নামেন্ট চলাকালীন ২৫ ভাগ এবং টুর্নামেন্ট শেষের এক মাসের মধ্যেই বাকি ২৫ ভাগ পাওনা পরিশোধ করে দিতে হবে। অথচ সে নিয়ে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই দেশের স্বনামধন্য অনেক ক্লাবেরই।
সেকারণে পাওনা পেতে রীতিমত বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে খোলারদের। নতুন মৌসুম শুরুর আগে এই বিষয়ে ক্রিকেটাররা বলেন, ‘পারিশ্রমিক নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকায় অনেক সময় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের ওপর তার প্রভাব পড়ে। বোর্ড সবসময় আশ্বাস দিলেও তা কাজে পরিণত হয় কম।’
পূর্বের মতই এই সমস্যা সমাধানে আবারো আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সিসিডিএম এর সমন্বয়ক আমিন খান জানান, ‘কিছু ক্লাব ইতোমধ্যেই খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক শোধ করে দিয়েছে। যদি আরো কোন ক্লাবের নামে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় তবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এদিকে পারিশ্রমিক ছাড়াও প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতি নিয়েও আক্ষেপ আছে ক্রিকেটারদের। প্রথম থেকেই দেখা যাচ্ছে, প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতি নিয়ে দুই মেরুতে অবস্থান ক্লাব ও ক্রিকেটারদের। এবারও প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতিতে দলগঠন ও বিসিবির বেঁধে দেয়া মানদণ্ডে নির্ধারিত হবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক।
প্রসঙ্গত, প্লেয়ার্স বাই চয়েজ পদ্ধতিতে খেলোয়াড়দের নিলামে সর্বনিম্ন মূল্য থাকবে ৩ লাখ টাকার মত। ২০১৮-১৯ মৌসুমের ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াবে ফেব্রুয়ারির শেষ অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে। নিলামে থাকবে প্রায় ৩০০ জন ক্রিকেটারের নাম।