
অভিষেকেই আলো ছড়িয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অফ স্পিনার আলিস আল ইসলাম। নেট বোলার থেকে মূল দলের হয়ে খেলে ফেলা ‘হ্যাটট্রিক ম্যান’ আলিসকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে বিস্তর। তবে বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচের পরেই বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো আলিসের। শুধু আলিসই নয়, বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুম শেষে আরও দুই বোলার সঞ্জিত সাহা ও নাহিদুল ইসলামের বোলিংয়ে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে মাঠ মাতিয়েছেন স্পিনার সঞ্জিত সাহা। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে একাদশে তেমন সুযোগ না পেলেও শেষ দিকে এসে সঞ্জিত সাহাকে ব্যবহার শুরু করে লিগ চ্যাম্পিয়নরা। শুরুতে টিম কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ হয়নি সঞ্জিতের, তবে খেলেছেন ভিক্টোরিয়ান্সের শেষদিকের ম্যাচে। কোয়ালিফায়ারে দারুণ বল করা এই অফ স্পিনারের প্রশংসায় ছিলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
কিন্তু দলকে শিরোপা পাইয়ে দিতে সাহায্য করলেও বিপিএলটা সুখকর গেলো না সঞ্জিতের। কারণ আলিস আল ইসলামের সাথে ত্রুটিপূর্ণ বোলিংয়ের তালিকাতে নাম এসেছে তারও। তবে এবারই অবশ্য প্রথমবার নয়, এর আগেও প্রশ্ন উঠেছিলো সঞ্জিতের বোলিং নিয়ে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময় সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। ২০১৬ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সঞ্জিত সাহা সহ ১০ বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কথা উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের আগস্টে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি পরীক্ষা করার পর জানিয়েছিলেন মইনুল ইসলাম, নাইম ইসলাম জুনিয়রের সঙ্গে সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিহীন।

একই অবস্থা রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলা আরেক স্পিনার নাহিদুল ইসলামেরও। নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিতে না পারলেও, এবার বেশ ভালো ইকোনমি বজায় রেখে বোলিং করেছেন তিনি। শেষ দিকে দলের হয়ে নিয়মিত হাত ঘোরাতে দেখা গেছে ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডারকে। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে নাহিদুলের বোলিংও, তবে আলিস আল ইসলাম আর সঞ্জিত সাহার মত এর আগে নাহিদুলের বোলিং কাঠগড়ায় উঠেনি।