

গত বছরের অক্টোবরে হয়ে যাওয়া আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসরে খেলার পর নিজ দেশ ইংল্যান্ডে ফিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের রাজশাহী কিংসের ক্রিকেটার লরি ইভান্স। চেয়েছিলেন স্ত্রী-কে নিয়েই বিপিএল মাতাতে বাংলাদেশে আসতে। তবে নিরপত্তা জনিত শঙ্কার কথা শুনে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয় তাঁকে।

ইংলিশ ক্রিকেটার লরি ইভান্সের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে পদার্পণ করার সুযোগ হয়নি এখনো। খেলে বেড়ান বিশ্বজুড়ে চলমান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলাতে। তাতে অবশ্য খুব বেশি তারকা খ্যাতিও জুটাতে পারেননি তিনি। কিছুদিন আগে এসেছিলেন বিপিএল মাতাতে। তবে শুরুর দিকে নিজেকে হারিয়ে খুঁজলেও রাজশাহী কিংসের জার্সিতে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরে প্রথম শতকটা তুলে নিয়েছেন লরিই।
শেষ পর্যন্ত কিংসরা প্লে অফ না খেলতে পারলেও পরের ম্যাচগুলাতে আলো ছড়িয়েছেন এই ইংলিশম্যান। এক শতকে রাজশাহীর হয়ে বিপিএলে করেছেন মোট ৩৩৯ রান। বিপিএল থেকে ফিরে এবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) মিশন শুরু করেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের এই ফেরিওয়ালা। দুবাইতে হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টের আগে ব্রিটিশ ওয়েবসাইট দ্য ক্রিকেটারের সাথে কথা বলতে যেয়ে সেখানেই লরি জানিয়েছেন, নিরাপত্তা শঙ্কার কথা শুনে স্ত্রী-কে বাংলাদেশে নিয়ে আসেননি তিনি।
এই প্রসঙ্গে লড়ি ইভান্স বলেছেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম তাঁর (লরির স্ত্রী) বাংলাদেশে আসার কথা। তবে মানুষের কাছে শুনেছি সেখানে (বাংলাদেশ) নিরাপদ নয় তেমন একটা। আপনি এখানে হোটেলের বাইরে যেতে পারবেন না, তাই এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার ছিলো না। শেষ সময়ে এসে মতামত বদলাতে হয় আমাদের।’

একই সাথে বিপিএলে কাটানো নিজের সময়গুলা তুলে ধরে তিনি আরও বলেছেন, ‘গত বছর দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছি আমি। বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিও খুব ভালো যায়। এক সপ্তাহের ছোট হানিমুনের পর আমি দেশে ফিরে যাই ও সেখান থেকে সোজা বিপিএল। তবে শুরুর পারফরম্যান্সে হতাশ ছিলাম। আমার কোচ (ল্যান্স ক্লুজনার) পরবর্তীতে আমার উপর বিশ্বাস রেখে সুযোগ দেন এবং আমি ভালো করি। এর জন্য তার প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকবো।’