

প্রাইম ব্যাংককে ৬০ রানে হারিয়ে ডিপিএলের(ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ) সুপার লিগ শুরু করলো আবাহনী লিমিটেড। ৮৫ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন লিটন দাস।
সাভারে বিকেএসপির ৪ নাম্বার গ্রাউন্ডে প্রাইম ব্যাংকের অধিনায়ক টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ওভার প্রতি ৬ করে রান তোলা শুরু করেন আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাদমান ইসলাম। ৩৮ রানে সাদমান ফিরে গেলেও সাইফ হাসান কে নিয়ে শতরানের জুটি গড়েন লিটন দাস। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৭৩ বলে ৮ চার আর ৪ ছয়ে ৮৫ রান করেন এখনো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী লিটন। লিটনের পর ৪৬ রান করে ফিরে যান সাইফ হাসানও। কিন্তু মিঠুন, শান্তর জোড়া অর্ধশতকে বড় সংগ্রহই করে আবাহনী। নাজমুল হাসান শান্ত ৫৭ বলে ৬৫ আর মিঠুন ৫২ বলে ৬০ রান করেন। শেষ দিকে আফিফের ১৩ বলে ১৭ আর মানান শর্মার ১০ বলে ১৫ রান ৩০০ পার করে দেয় আবাহনীকে। সব মিলিয়ে ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৬ উইকেটে ৩২১ রান করে থামে আবাহনী। প্রাইম ব্যাংকের আল আমিন ও আরিফুল হক দুটো করে উইকেট নেন। ডি/এল মেথডে প্রাইম ব্যাংকের টার্গেট দাঁড়ায় ৪৭ ওভারে ৩৩৪।
৩৩৪ রান তাড়া করতে নেমে ভালোই জবাব দেয়া শুরু করে প্রাইম ব্যংকের দুই ওপেনার মেহেদী মারুফ ও জাকির হোসেন। মাত্র ৭.২ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ৬৪ রান। ২৪ বলে ২৮ করে মারুফ আউট হলেও ফিফটি তুলে নেন উইকেট কিপার জাকির হোসেন। আফিফ হাসানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৭ চার আর ২ ছয়ে করেন ৫৫। এরপর নাহিদুল ইসলাম আর ইশ্বরানের প্রচেষ্টায় জয়ের লক্ষ্যে এগুলেও যোগ্য সমর্থনের অভাবে লড়াই করা সম্ভব হয়নি। ২০২/৪ থেকে হুট করেই ২৩০/৮ হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। নাহিদুল আর ইশ্বরান দুজনেই ৪৩ রান করে আউট হয়ে যান। প্রাইম ব্যাংক মূলত ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় এ’দুজনের আউটের পরই। শেষপর্যন্ত ২৭৩ রানে অল আউট হয় প্রাইম ব্যাংক। আবাহনীর মানান শর্মা তিনটি, আফিফ, শুভাগত, সাইফউদ্দিন দুটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী ৩২১/৬(৪৭),লিটন ৮৫, শান্ত ৬৫, মিঠুন ৬০, আল-আমিন ৪৩/২, আরিফুল ৭০/২
প্রাইম ব্যাংক ২৭৩/১০(৪৩.৩),জাকির ৫৫, নাহিদুল ৪৩, মানান শর্মা ৫৪/৩, আফিফ ৪৮/২, শুভাগত ৩৩/২
আবাহনী ডি/এল মেথডে ৬০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরাঃ লিটন দাস(আবাহনী)