

টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এতে বোধহয় খুশিই হয়েছিল কিউই শিবির। পেস ও সুইং দিয়ে বাংলাদেশের টপ অর্ডার গুড়িয়ে দেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরি। পরে গতির ঝড় তুলে আতঙ্ক ছড়ান লুকি ফার্গুসন। কম যাননি মিচেল স্যান্টনারও। টপ অর্ডারের ব্যর্থ হবার দিনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনরা।
চার মেরে বাংলাদেশের ইনিংস শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি, বোল্টের আউট সুইঙ্গারে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ৫ রান করে। দলীয় ১৯ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন তামিমের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামা লিটন দাসও।
স্ট্রোকের পসরা সাজিয়ে দ্রুত রান তুলে নিচ্ছিলেন সৌম্য সরকার। তবে সঙ্গীর বিদায়ে ছেদ পড়ে তাতে। দলের ৪২ রানের মাথায় ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। এক বল বিরতি দিয়ে ম্যাট হেনরির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন সৌম্য, দলকে ৪২ রানে রেখেই। ২২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে ৩০ রান করেন সৌম্য।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৩ রানের মাথায় পরাস্ত হন লুকি ফার্গুসনের গতির কাছে। দলকে ৭১ রানে রেখে ফেরেন স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা রস টেলরকে ক্যাচ দিয়ে। শুরুটা আশা জাগানিয়া হলেও তা ধরে রাখতে পারেননি সাব্বির রহমান। ১৩ রান করে মিচেল স্যান্টনারের বলে শরীরের ভারসাম্য না রাখতে পেরে স্টাম্পড হন সাব্বির।
মোহাম্মদ মিঠুন ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৭ম উইকেট জুটিতে আসে ৩৭ রান। ২৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। এরপর বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানোর মতো এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৮ম উইকেটে দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৮৪ রান। ৫৮ বলে ৩ চারে ৪১ রান করে আউট হন সাইফউদ্দিন।
ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে উইকেটে টিকে থাকা মিঠুন শেষমেশ পরাস্ত হন লুকি ফার্গুসনের গতির কাছে। ৯০ বলে ৫ চারে ৬২ রান করেন মিঠুন। তাঁর বিদায়ের পর বেশিদূর আগাতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৩২ রানেই শেষ হয় টাইগারদের ইনিংস। কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট ও মিচেল স্যান্টনার নেন ৩ টি করে উইকেট। ২ টি করে উইকেট পান ম্যাট হেনরি ও লুকি ফার্গুসন।