

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেই ধরতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডগামী বিমান। কিছু ক্রিকেটার এর আগেই পৌঁছে গিয়েছেন সেখানে। বাংলাদেশ দলের এই সফরের জন্য ক্রিকেটাররা নিতে পারেননি পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। তবে এই অপর্যাপ্ত প্রস্তুতির যে কারণে সেটিকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুইভাবেই দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের হেড কোচ স্টিভ রোড।
নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়েই গত কয়েক বছরে দেশে বিদেশে বেশ সমীহ পেয়েছে বাংলাদেশ। মাঠের ক্রিকেটে টাইগারদের বিপক্ষে নামার আগে পুরোদস্তুর প্রস্তুতি আর পূর্ণশক্তির দল নিয়েই নামে প্রতিপক্ষরা। দেশের মাটিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করা বাংলাদেশ দল ভালো খেলা শুরু করছে বিদেশের মাটিতেও। নিদাহাস ট্রফি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ, সর্বশেষ উইন্ডিজ সফর তারই প্রমাণ।
কিন্তু নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে যেকোন দলের জন্যই ভালো করা কঠিন। তার উপর গত চারবার নিউজিল্যান্ড সফর করেও জয় না পাওয়া বাংলাদেশের জন্য তো বলা চলে অনেক কঠিন। তাই অন্তত মাঠে নামার আগে সিরিজে আন্ডার ডগ হয়ে নামতেও আপত্তি দেখছেন না স্টিভ রোডস।
আন্ডারডগ হয়ে নামলেও মাঠের ক্রিকেটে প্রমাণ করতে চান রোডস বাহিনী। এমনটা জানিয়ে স্টিভ রোডস বলেন, ‘ব্যাপারটা খারাপ নয়। আন্ডার ডগ হিসেবে আমরা অনেক সময় অনেককে অবাক করে দিয়েছি। আমি মনে করি নিউজিল্যান্ডও জানে বাংলাদেশকে হারাতে হলে তাদের খুব ভালো ক্রিকেটই খেলতে হবে।’

সফরের আগে বিপিএল খেলাকে ইতিবাচক-নেতিবাচক দুইভাবেই দেখছেন বাংলাদেশ কোচ। টানা খেলার মধ্যে থাকায় শারীরিকভাবে ক্নান্তিবোধ আসাটা স্বাভাবিক। এছাড়া এমন একটা সিরিজের আগে জাতীয় দলে কোচিং স্টাফদের সাথে আর কটা দিন বেশি অনুশীলনে থাকা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, যে কারণে অন্তত প্রস্তুতির দিক থেকে পিছিয়ে আছেন মানলেও বিশ্বাস রাখছেন তামিম-মাশরাফিদের উপর।
রোডসের মত, ‘বিপিএল খুব কঠিন একটা টুর্নামেন্ট। অনেক ইতিবাচক ব্যাপার আছে এই টুর্নামেন্ট থেকে। তবে টুর্নামেন্টটা খেলোয়াড়দের শরীরের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রেখে গেছে। এটির কারণে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতিটাও খুব আদর্শ প্রস্তুতি হয়নি। আমি এখন কেবল এটাই বিশ্বাস করি, নির্দিষ্ট দিনে আমার খেলোয়াড়েরা প্রমাণ দেবে যে ভালো ক্রিকেট তারাও খেলতে জানে।’