

সাকিব আল হাসানের বিকল্প বাংলাদেশ ক্রিকেট এখনও খুঁজে পায়নি, অদূর ভবিষ্যৎতেও আরেকজন সাকিব পাওয়া যাবে সেটাও নিশ্চয়তার বাইরে। নাম্বার ওয়ান এই অলরাউন্ডারকে ছাড়া বাংলাদেশের একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেতে হয় কোচ-অধিনায়কের। ইনজুরিতে ছিটকে যাওয়া সাকিবের জন্য কেবল আফসোসই ঝরলো বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের কন্ঠে। হতাশা নিয়েই বললেন আশেপাশে আমাদের অনেক সাকিব নেই।

সাকিব এমনই একজন ক্রিকেটার যিনি দলে একই সাথে দুজন ক্রিকেটারের ভূমিকা পালন করেন। সাকিবের অনপুস্থিতিতে দলে ঘাটতি দেখা দেয় একজন পুরোদস্তুর বোলার ও ব্যাটসম্যানের। এবারের নিউজিল্যান্ড সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য প্রমাণের মিশন দেশ ছাড়ার আগে এমনটাই জানিয়ে গিয়েছিলেন লাল-সবুজের জার্সিধারীদের কোচ স্টিভ রোডস।
বিপিএলের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়ে সাকিবের নিউজিল্যান্ড সফর মিস করায় কোচের সেই মিশনে কিছুটা হলেও দুর্বলতা এসেছে বলতেই হয়। সাকিবের বদলি হিসেবে যেই যাক সাকিবের কাজটা নিশ্চিতভাবেই করতে পারছেন না কেউই। তাই কোচের আফসোস বাড়ালো দলে অনেকগুলো সাকিব না থাকাতে। সাকিবকে হারানো বড় ধাক্কা উল্লেখ করে রোডস বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা বড় ধাক্কা। কেননা আমাদের আশপাশে অনেক সাকিব আল হাসান নেই।’
সাকিবকে না পেলেও মুস্তাফিজেই আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন কোচ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মুস্তাফিজের যেকোন দলের জন্যই বাড়তি কিছু বলে মনে করেন এই ইংলিশম্যান। মুস্তাফিজ নিজের দিনে যেকোন প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি অন্তত অভিষের পর থেকে পারফর্ম দিয়ে সেটাই প্রমাণ করে আসছেন। আর নিজের এই প্রতিভাবান শিষ্যের জন্য প্রশংসার ফুলঝুরি ছুটাতে কার্পন্য করেননি গুরু স্টিভ রোডস।
মুস্তাফিজকে সাদা বলে বিশ্বের সেরা পাঁচ জনের একজন দাবি করে তিনি জানান, ‘আমার মনে হয়, সাদা বলের ক্রিকেটে আপনি তাকে দলে চাইবেনই। ওয়ানডেতে সেরা পাঁচজনের মধ্যে একজন সে। ইনিংসের শেষদিকে যখন চাপ থাকে, তখনকার জন্যও সে খুব ভালো পারফর্মার। যে কোনো দলের বিপক্ষে খেলার আগে এই বিষয়টা বড় একটা ফ্যাক্টর।’