

গত কয়েকদিনের গরমে ঘরে থাকা মানুষেরই অবস্থা বেহাল। তাপমাত্রা পৌছে গেছে ৩৭ ডিগ্রীতে। সাধারণ মানুষ যেখানে দৈনন্দিন কাজ করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে ব্যাটে-বলে তপ্ত রোদে চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের ম্যাচ।
দেশের ক্রিকেটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সবচেয়ে সম্মানের হলেও এই লিগের সাথে মিশে আছে ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির খোরাক। তাই সোজা কথা, বাধ্য হয়েই খেলে যাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। ইনজুরির ঝুঁকি তো আছেই। এই লিগ শেষেই ক্রিকেটাররা পান পুরো পারিশ্রমিকের টাকা। আর লিগ দেরিতে শেষ হলে টাকাও পান দেরিতে!
টাকা কি তবে সব? যদি খেলতেই না পারেন ঠিকমত! অনেকে খেলতে খেলতে অসুস্থ হয়ে অবসরে যাচ্ছেন স্বেচ্ছায়। এসব দেখে বেজায় চটেছেন জাতীয় দলের সাবেক উইকেট কিপার-ব্যাটসম্যান খালেদ মাসুদ পাইলট। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিসিবিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেন, “পরের মৌসুমের কথা একটু ভাবুন, এই গরমে ক্রিকেট হয়না।’’
এ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন পাইলটের সতীর্থ বিসিবি পরিচালক ও আবাহনী কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।বিসিবিতে গণমাধ্যমের কাছে তিনি জানান, “ আমি সবসময় বলে আসছি ঢাকা লিগ বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ।আমি চাই ঠান্ডা আবহাওয়ায় লিগ আয়োজন হোক।কিন্ত এটা ঠিক, দেশের ক্রিকেটের সূচি এখন অনেক ব্যস্ত।আগে বিপিএল, বিসিএল ছিলোনা।এখন এগুলো যোগ হওয়াতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ একটু পিছিয়ে যাচ্ছে।সামনে আমরা এটা নিয়ে কাজ করবো। এই গরমে অন্তত ক্রিকেট না।”
এই গরমে খেললে সব থেকে বড় সমস্যায় পড়বে উইকেট কিপার আর পেসাররা। ব্যাটসম্যান দের ক্ষেত্রে যারা সিঙ্গেল রান নিয়ে খেলে থাকেন তাদের জন্য অনেক বেশ ঝুঁকিরই এমন তপ্ত সূর্যের নিচে ব্যাটিং করা।
সবশেষে খালেদ মাহমুদ সুজন সুপারিশ জানিয়ে রাখেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে। বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে জানিয়ে রাখলাম এই জুন-জুলাইয়ের গরমে যেন ঢাকা লিগ আর না হয়।”