

সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পরই এই টুর্নামেন্টের সপ্তম আসরের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে বিপিএল গভর্নিং কমিটি। আসন্ন সেই আসরের জন্য দল কিনতে আগ্রহ জানিয়েছে নোয়াখালী আর ফিরতে চাইছে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বরিশাল, এমনটাই জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কমিটির সদস্য জালাল ইউনুস।
নির্বাচনের ডামাডোলে ২০১৮ সালের বিপিএল মাঠে গড়ায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। নিয়ম অনুসারে এ বছরের বিপিএলটাও অনুষ্ঠিত হবে ডিসেম্বরে, এমনটাই চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আলোচনা।

বিপিএলের ৭ম আসরে চমক থাকতে পারে অনেকগুলো। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের’ সাথে একান্ত আলাপকালে জালাল ইউনুস জানান ঢাকায় কমবে ম্যাচ সংখ্যা, অন্যদিকে ভেন্যু বাড়তে আরও একটি। সেক্ষেত্রে কপাল খুলবে খুলনার দর্শকদের।
খুলনার মাঠের সৌন্দর্য্য আর দর্শকদের আগ্রহের কথা টেনে এই বিসিবিকর্মকর্তা জানান, ‘আমরা আরও একটি ভেন্যুর কথা ভাবছি। সেক্ষেত্রে খুলনা পছন্দের শীর্ষে আছে। খুলনার মাঠ যেমন সুন্দর, প্রচুর দর্শকও পাওয়া যাবে। এছাড়া সিলেট চট্টগ্রামেও বাড়বে ম্যাচের সংখ্যা।’
বিপিএল গভর্নিং কমিটির এমন উদ্যোগে ঢাকায় ম্যাড়ম্যাড়ে বিপিএল থেকে মুক্তি পাবে দর্শক এটা ভাবা যায়। প্রসঙ্গক্রমে জালাল ইউনুস তুলে ধরেন বিপিএলের পরবর্তী আসরে নোয়াখালী থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি কেনার আগ্রহের কথা, একই সাথে পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি বরিশালের ফিরে আসার সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিলেন তিনি।
জানাল ইউনুস বলেন, ‘নোয়াখালীর ক্রিকেট সমর্থকরা অনেকদিন ধরেই দল কিনতে চাচ্ছে। বিভিন্ন মালিকেরা আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে, এছাড়া বরিশালও ফিরতে চাচ্ছে। সবই ঠিক আছে তবে নির্ভর করছে বিপিএলে তাদের সুযোগ করে দেওয়ার মত অবস্থানের উপর।’
অন্যদিকে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএলের কিছু ম্যাচ বাংলাদেশে হওয়ার গুঞ্জন বাতাসে উড়লেও সরাসরি স্বীকার না করে ব্যাপারটিকে ইতিবাচক দেখছে বিপিএল গভর্নিং কমিটির চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘এধরণের (আইপিএলের ম্যাচ বাংলাদেশ হওয়ার) প্রস্তাব আসলে আশা করি আমরা ভালোভাবেই আয়োজন করতে পারবো। আমাদের দুটি বিশ্বকাপ, কয়েকটি এশিয়া কাপ সফলভাবে আয়োজনের অভিজ্ঞতা আছে। সেক্ষেত্রে আইপিএলের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন খুব একটা সমস্যা হওয়ার কথা না।’