
নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে একটা ধন্যবাদ দিতেই পারেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। কিউইদের ইনিংসের ১৮ তম ওভারে করা পান্ডিয়ার শেষ বলটা যদি ছয়ে রূপ দিতে পারতেন গ্র্যান্ডহোম, তবে পূর্ণ হতো ষোলকলা। বড় ভাইয়ের মত একই ম্যাচে নিজের করা চার ওভার থেকে হার্দিকও বল হাতে ব্যয় করতেন ৫০ এর উপরে রান। তেমনটা না হলেও আজ (রোববার) লজ্জার রেকর্ড পিছু ছাড়েনি পান্ডিয়া ভাইদের।

৩ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষটাতে আজ সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে মাঠে নেমেছিলো দুই দল ভারত ও স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। যেখানে হ্যামিল্টনে সফরকারী ভারতকে ৪ রানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজটা নিজেদের করে নিয়েছে কিউইরা। সেই ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের একহাত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। আরও নির্দিষ্ট করে বলে পান্ডিয়া ভ্রাতৃদ্বয়কে।
ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ২১২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় কেন উইলিয়ামসনের দল। যেখানে বল হাতে নিজের কোটার ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়েছেন ভারতীয় অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। বড় ভাই ক্রুনাল রান বিলিয়েছেন আরও বেশি, দিয়েছেন ৫৪ রান। একই সাথে ম্যাচে দুজনই ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর মাধ্যমেই ৩ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়া বোলারের শীর্ষ তিন-এ জায়গা করে নিয়েছেন দুই ভাই। তালিকায় বড় ভাই ক্রুনালকে টপকে শীর্ষে আছেন হার্দিক, এই ৩ ম্যাচে ১৩১ রান দিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ, এই সিরিজেই ৩ ম্যাচে ১২২ রান বিলিয়েছেন খলিল। তৃতীয় স্থানে আছেন ক্রুনাল, ৩ ম্যাচে তিনি দিয়েছেন ১১৯ রান।

সব দেশ মিলিয়ে দ্বিপাক্ষিক তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড অবশ্য ইংলিশ পেসার জাডে ডার্নবাখের। ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাত্র ৩ ম্যাচ খেলেই ১৪১ রান দিয়েছিলেন এই পেসার।