

একজন সাকিব আল হাসান দলে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান ও বাড়তি একজন বোলারের সুবিধা দেন। তার অবর্তমানে দল সাজানো আর মাঠের ক্রিকেট গুছিয়ে তোলা কতটা কঠিন মাশরাফির চেয়ে কেইবা বেশি জানে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য দেশ ছাড়ার আগে জানিয়ে গেলেন সফরটা এমনিতেই কঠিন, সাকিবকে ছাড়া হবে আরও কঠিন।

ইনজুরি যেন সাকিবকে তাড়া করে ফিরছে। গতবছর এশিয়া কাপের মাঝ পথে চোট নিয়ে দেশে ফিরেন। এশিয়া কাপের পাশাপাশি মিস করেন ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজও। পরে উইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে ফিরলেও বিপিএলের ফাইনালে চোট পেয়ে আবার ছিটকে গেলেন নিউজিল্যান্ড সফরের দল থেকে। অথচ বিপিএল শেষ করে মাশরাফি, তামিম, রুবেল, সাইফউদ্দিনের সাথে বিমানে চড়ার কথা ছিলো তারও।
সাকিবকে ছাড়াই সিরিজের প্রথম ম্যাচের মাত্র দুদিন আগে দেশ ছাড়া মাশরাফি জানিয়ে গেলেন সাকিবকে ছাড়া কঠিনই হবে সিরিজটা, বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মাঠ বলে ভাবনাটা আরও বেশি। অধিনায়ককে হারাতে হল দুইটা খেলোয়াড়কে, সাকিব মানেই যে একজন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ও একজন স্বীকৃত বোলার। তবে সাকিবকে ছাড়া সম্প্রতি বেশ কটা ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান বলেও জানান বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক।
মাশরাফি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সফর সবসময়ই কঠিন, সাকিবকে ছাড়া আরও কঠিন হবে। তবে গতবছর তাকে ছাড়া বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের। চেষ্টা থাকবে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর।’
এবারের নিউজিল্যান্ড সিরিজটা যেমন স্বপ্নের তেমন চ্যালেঞ্জিংও। বিপিএল ব্যস্ততায় নেওয়া হয়নি নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন বিবেচনায় প্রস্তুতি। দলের অনেক খেলোয়াড় মাঠে নামবেন প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলেই। কয়েকজন দু’দিন আগে চলে গেলেও কন্ডিশন বিবেচনায় নিছক গা গরম ছাড়া নিউজিল্যান্ড মোকাবেলার জন্য যে প্রস্তুতি সয়ংসম্পূর্ণ হয়নি বলাই যায়৷ তবুও মাশরাফি দেখিয়ে গেলেন আশার আলো, যে সময় পাবেন সেটার মধ্যেই নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা করতে চান।
‘ব্যাপারটি আমাদের জন্য ঠিক আদর্শ পরিস্থিতি নয়। খেলা নিউজিল্যান্ডে না হয়ে বাংলাদেশে হলেও একটা কথা ছিল। প্রস্তুতির জন্য দুই দিন সময় পাওয়া যাবে। এর মধ্যে চেষ্টা করবো যতদূর সম্ভব মানিয়ে নেয়া যায়।’