

পরাজিত দলের সদস্য নয়, দিন শেষে বিজয়ী হতে চায় সকলেই। তবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত দুই আসর ধরে ভাগ্যটা একটু উপহাসই করছে টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সাথে। সেবার রংপুরের বিপক্ষে হেরে খুইয়েছিলেন শিরাপো, এবার কুমিল্লার সাথে বরণ করতে হলো একই পরিণতি। এই দুই হারে ম্যাচের ব্যবধান করে দিয়েছে মূলত ব্যক্তিগত দুটো ইনিংস, সুযোগ হলে সেই একই ভুল তৃতীয়বার করতে চান না সাকিব।

বিপিএলের গত আসরে সাকিব আল হাসানের দল ঢাকা ডায়নামাইটসের সর্বনাশটা হয়েছিলো গেইলের ব্যাটে। ২০১৭ সালের ফাইনালে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব খেলেছিলেন ৬৯ বলে ১৪৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস। এবার ডায়নামাইটসদের কপাল পুড়িয়েছেন তামিম ইকবাল, তার করা ৬১ বলে ১৪১ রানের ইনিংসটা শিরোপা থেকে ছিটকে দিয়েছে ঢাকাকে। টানা দুই ফাইনালে দুই ব্যাটসম্যানকে আটকাতে না পারার মত ভুলের খেসারত আর দিতে চান না সাকিব, আগামীবার ফাইনালে উঠলে এমন ইনিংস খেলতে দিতে চান না আর কাউকে।
শুক্রবার হয়ে যাওয়া বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আসলে সাকিবের কাছে প্রশ্ন করা হয় টানা দুই ফাইনালে হারের পর নিজের ভিতর কোনা খারাপ লাগা কাজ করছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন ফাইনালের মত মঞ্চে এসে হেরে যাওয়ার কষ্টটা লুকানোর কিছু নেই। তবে এই অলরাউন্ডার মনে করে অনেককে টপকে ফাইনালে আসতে পারাটাও বিরাট এক সাফল্য।
সাকিব জানান, ‘অবশ্যই, ফাইনালে এসে হেরে যাওয়া তো অবশ্যই কষ্টকর। লাস্ট তিনটা ফাইনাল পরপর খেললাম, লাস্ট দুইটা হেরেছি, তার আগেরটা জিতেছি। দুঃখ আছে একদিন থেকে, আরেক দিন থেকে টি-টোয়েন্টিতে কারো যদি এমন ইনিংস থাকে (তামিমের মত)। এর আগের বছর গেইলের ১৪৬, এ বছর তামিমের ১৪১। তো এই দুইটা ইনিংসে আসলে আমরা দুইটা ম্যাচ হেরে গেছি। এরপর চেষ্টা করতে হবে যাতে এমন ইনিংস আসলে কেউ না খেলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে আসলে অর্জনটা বড় মনে হতো। কিন্তু ফাইনাল খেলতে পারাটাও একটা অর্জন অবশ্যই। এমন টুর্নামেন্ট বা সিরিজ যখন হয়, আসলে শেষ পর্যন্ত যাওয়াও অনেক বড় একটা অর্জন। কারণ সাতটা দল থেকে মাত্র দুইটা দল ফাইনাল ম্যাচটা খেলতে পেরেছে। তো এখানে (বিপিএল) লাস্ট ৩টা ফাইনাল খেললাম, আইপিএলে খেলেছি ফাইনাল, সিপিএলে খেলছি। তো আলহামদুল্লিলাহ ভালো একটা অভিজ্ঞতা, কিন্তু এই অভিজ্ঞতাটাইতো আর সব না। যত সম্ভব হয় শেষ দিকের ম্যাচগুলা জেতে যায় ততই আসলে ভালো।’