

বিপিএল ইতিহাসে চতুর্থ এবং সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশি হিসাবে শতক হাঁকিয়েছেন কুমিল্লার ওপেনার তামিম ইকবাল। একজন বাংলাদেশি হিসাবে ফাইনালের মঞ্চে শুধু সেঞ্চুরি করা নয়, বরং ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেওয়ার মত এমন একটা ইনিংস খেলে বেশ উচ্ছ্বসিত তামিম। গর্বটা একটু বেশি করছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসাবে পাওয়া এমন সাফল্যে। তার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এই ড্যাশিং ওপেনার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আরও আকর্ষণীয় ও জমজমাট করতে টুর্নামেন্টের নিয়ম বদলে পঞ্চম আসরে চার জনের পরিবর্তে বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা বাড়িয়ে করা হয় ৫ জনে। এর কারণ হিসাবে দাঁড় করানো হয় মানসম্মত পর্যাপ্ত দেশি ক্রিকেটার না থাকাকে। তবে এক মৌসুম পর এবার অবশ্য অধিকাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের মতই আবার চার বিদেশি তত্ত্বে ফিরে আসে বিপিএল কর্তৃপক্ষ।
তবুও যেন মাঠের ক্রিকেটে দাপট ধরে রেখেছিলো সেই বিদেশিরাই। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ফাইনালের আগে ব্যক্তিগত শতক হয়েছিলো ৫টি, যার পাঁচটায় আবার বিদেশিদের। বাংলাদেশের উইকেটে বিদেশিরা ভালো করায় আক্ষেপ বাড়ছিল দেশি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে। সেটা যেন একটু বেশিই পীড়া দিচ্ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলা টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের।
ফাইনালের মঞ্চে সেই তামিম হয়ে উঠলেন অপ্রতিরোধ্য, চেনালেন নিজের জাত। শতক হাঁকিয়ে ক্রিকেট বিশ্বকে যেন জানান দিলেন, ব্যাট হাতে কম যায় না বাংলাদেশি ক্রিকেটাররাও। অন্তত এমনটাই মনে হলো ম্যাচ শেষে তামিমের কথা শুনে, ‘আজকের ইনিংসের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার যেটি ছিল, আপনারা নরম্যালি দেখেন, সবসময়েই বড় ম্যাচে বিদেশি ক্রিকেটাররাই ম্যাচের ভাগ্য পরিবর্তন করে দেই, পারফর্ম করে। সেমিফাইনাল-ফাইনালে তারাই ম্যাচ জেতায়। আজকে একজন বাংলাদেশি জিতিয়েছে, এটিই আমার সেরা অর্জন আজকে।’

‘কত রান করেছি, কত কিছু করেছি, এসব ব্যাপার না। কিন্তু বাংলাদেশের একজন ক্রিকেটার আজ ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে। এর চেয়ে বড় জিনিস আমার জন্য হতেই পারে না।’ বলে তামিম আরও যোগ করেন।
ফাইনালের নিজের খেলা এই ইনিংসটা তরুণ ক্রিকেটাদের চ্যালেঞ্জ নিতে বার্তা দিবে বলে জানান তামিম, ‘আশা করি, আমার এই ইনিংস দেখে অন্য আরও অনেকে, জুনিয়র যারা আমার সঙ্গে খেলে, তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেবে যে বিদেশিদের দিকে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে না, নিজেরাই করতে পারি। এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’