

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে সাফল্যের বিচারে এগিয়ে থাকবেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা, ঢাকা হয়ে কুমিল্লা ঘুরে রংপুরকেও এনে দিয়েছেন শিরপোর স্বাদ। দুর্ভাগ্যবশত এবার ফাইনালে উঠতে পারেননি তিনি। তবু শুক্রবারের ফাইনাল ম্যাচে না থেকেও যেন থাকলেন টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাচে মাশরাফির দল প্রতিনিধিত্ব না করলেও তার শেখানো কৌশল কাজে লাগিয়েই সফল হয়েছেন ফাইনালে ম্যাচ সেরা হওয়া তামিম ইকবাল।

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল বিপিএলের ৬টা আসর। যেখানে আগের পাঁচ বারই আক্ষেপকে সঙ্গী করতে হলেও এবার প্রথম বারের মত এই টুর্নামেন্টের অধরা কাপটা হাতে তুলতে পারলেন তামিম ইকবাল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে নিজে ছিলেন অনবদ্য, খেলেছেন ৬১ বলে ১৪১ রানে হার না মানা ঝড়ো এক ইনিংস। এর উপর ভর করেই দ্বিতীয় বারের মত বিপিএল সেরা কুমিল্লা, তাতে তামিমের অর্জন প্রথমবার।
ফাইনালে এমন সাফল্যের কারণ জানাতে যেয়ে তামিম বলেন, ‘সত্যি কথা আমি খুব চিন্তিত ছিলাম। মাশরাফি ভাইয়ের কৌশল ব্যবহার করছিলাম। উনি সব সময় একটা জিনিস বলেন, আমি জানি না ওনার মনে কি থাকে। কিন্তু সব সময় বলেন ‘আমি জিতব, আমি জিতব, আমি জিতব’। তো এই পুরো বিপিএলে আমার এই কৌশলটা ছিল। ওনার থেকে কপি করা বলতে পারেন। বিপিএলের প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত বলেছি আমরা জিতব।’

একই সাথে তিনি আরও যোগ করেন, ‘সত্যি কথা, আমি কখনোই ভাবিনি এমন ইনিংস খেলবো। উইকেটে আমার পার্টনার যে থাকছিলো, শুধু আমি বলছিলাম নারাইন আর সাকিবকে উইকেট দিয়েন না। আমার ইনিংসটা যদি দেখেন, শুধুমাত্র ১টা ছয় ছাড়া নারাইনকে খেলতে আমি কোনো ঝুঁকিই নিয়নি। আমি বলবো এটাতেই সাফল্য এসেছে। কারণ ওদের এই দুই বোলার খুবই ভাইটাল। ওদের সাফল্যের পিছনে এই দুজনের অবদান ছিলো।’
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এবার বেশ ছন্দে ছিলো কুমিল্লা। দাপট দেখিয়েই উঠেছে ফাইনালে। তবে তামিমের এমন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পরেও ঢাকার ব্যাটসম্যানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শঙ্কা জেগেছিলো কিছুটা। এই প্রসঙ্গে তামিম বলেন, ‘টেনশন অবশ্যই ছিলো। তবে আমি ইতিবাচক থাকতাম টিমের মধ্যে। আমার মন তো আর ওরা (দলের সদস্যরা) পড়তে পারছে না, কিন্তু শুনতে পারছে আমি কি বলছি।’