

তামিম ইকবাল ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে সাকিব-রাসেল-রুবেলদের করলেন কচুকাটা। তাদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে তুলে নিলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। বিপিএল ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর কীর্তি গড়লেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম। তার টর্নেডো ইনিংসে রানের পাহাড় গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ঢাকা ডায়নামাইাটসকে ২০০ রানের টার্গেট দিল ইমরুল বাহিনী। মাত্র ৬১ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কায় ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম।
তামিম ইকবালের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে বড় পুঁজি পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৯ রান করেছে তারা। মাত্র ৬১ বলে ১০ চার ও ১১ ছক্কায় ১৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম। ২০ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইমরুল কায়েস। চতুর্থ উইকেটে ৪৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ১০০ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের মেগা ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। তবে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুটা শুভ করতে পারেনি ইমরুল বাহিনী। সূচনালগ্নেই টুর্নামেন্টজুড়ে বল হাতে আগুন ঝরানো রুবেল হোসেনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন ইনফর্ম এভিন লুইস।
পরে আনামুল হককে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন তামিম ইকবাল। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন। ক্রিজে সেট হয়ে রীতিমতো তোপ দাগাতে শুরু করেন তারা। তবে হঠাৎই পথচ্যুত হন এনামুল। সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরার আগে ৩০ বলে ২ চারে ২৪ রান করেন তিনি। এর রেশ না কাটতেই ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন ফর্মে থাকা শামসুর রহমান।
তবে একপ্রান্তে তামিম শো চলেছেই। একের পর এক চার-ছক্কায় সাকিবদের চোখের পানি, নাকের জল এক করে ছাড়েন তিনি। মাত্র ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যাশিং ওপেনার। ফাইনালের জন্য যেন সেরাটা তুলে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রানের ফোয়ারা ছোটালেন তিনি।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস একাদশ: তামিম ইকবাল, এভিন লুইস, আনামুল হক (উইকেটরক্ষক), শামসুর রহমান, ইমরুল কায়েস (অধিনায়ক), থিসারা পেরেরা, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদি হাসান, ওয়াহাব রিয়াজ ও সঞ্জিত সাহা।
ঢাকা ডায়নামাইটস একাদশ: সুনীল নারাইন, উপুল থারাঙ্গা, রনি তালুকদার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), কাজী অনিক, কাইরন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, শুভাগত হোম, নুরুল হাসান (উইকেটরক্ষক), রুবেল হোসেন ও মাহমুদুল হাসান।