

আজ বিপিএল ফাইনালে মুখোমুখি ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচটি শুধু দুই দলের জন্যই ফাইনালে প্রথম মুখোমুখি হওয়া নয়, সাকিব-তামিমের জন্যও ‘প্রথম’। শীতের সন্ধ্যায় মিরপুরের গ্যালারি উত্তপ্ত হবে, তবে টিকিটের দাবিতে সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মিরপুর শের–ই–বাংলা স্টেডিয়াম। টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকরা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান ফটক দিয়ে চত্বরের ভেতরে ঢুকে পড়ে।
আজ শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে টিকিট দেয়া কথা ছিল। সেই অনুযায়ী ভোর থেকেই দর্শকরা লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু আজ টিকিট পাননি তারা। বুথের সংশ্লিষ্টরা গণমাধ্যমদের জানালেন, বৃহস্পতিবারই সব টিকিট শেষ হয়ে গেছে। যে কারণে কাউন্টার ফাইনালের দিন সকালে খোলাই হয়নি। দর্শকরা ভেবেছিলেন সকাল ৯টায় খোলা হবে বুথ, পাওয়া যাবে টিকিট।
বিসিবির নির্দিষ্ট বুথে ফাইনাল ম্যাচের কোনো টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ দর্শকরা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে প্রধান ফটক দিয়ে চত্বরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মানুষ ঢুকে পড়ায় আতঙ্ক ছড়ায় পুরো স্টেডিয়ামে। বেশ কিছুক্ষণ হট্টগোলের পর বিসিবির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, র্যাব ও পুলিশের বাড়তি ফোর্স মিলে তাদেরকে বের করে দিতে সক্ষম হয়।
এছাড়াও এ সময় টিকিট বঞ্চিত দর্শকরা ‘টিকেট চাই টিকেট চাই’, ‘দালালের কালো হাত, ভেঙ্গে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘টিকেট নিয়ে দুর্নীতি, চলবে না চলবে না’, ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া প্রভৃতি স্লোগান দেন। বিসিবির স্টিকার সম্বলিত একটি গাড়ি পেয়ে সেটি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ করে। তারা মিরপুর স্টেডিয়ামের সড়কে যানবাহন চলতে দিচ্ছে না। ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শক দুলালের নেতৃত্বে একটি টিম বিক্ষুব্ধ জনতা কে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
আসন্ন বিপিএলের ফাইনালের কারণে স্টেডিয়ামের সব গেটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে আজ শুক্রবার। হুট করে নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই।