


অনুর্ধ্ব-১৯ দলের নতুন কোচ হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার জন রাইট। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অজিদের হয়ে মাঠে নামতে না পারলেও বল এবং ব্যাট হাতে সমান পারদর্শী রাইটের ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিসংখ্যানটা নেহায়েত মন্দ নয়। অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার প্রত্যয়ই ব্যক্ত করলেন স্টুয়ার্ট ল’র এই উত্তরসূরী।
৪০৮ উইকেট আর তিন সহস্রাধিক রান, রাইটের অলরাউন্ড সামর্থ্যের প্রমাণে আর তেমন কিছু বলতে হবেনা। শেষ চার বছর ছিলেন বিগব্যাশ ফ্রাঞ্চাইজি দল হোবার্ট হ্যারিকেনসের কোচিংয়ের দায়িত্বে। সোমবার রাতে বাংলাদেশ পৌঁছে মঙ্গলবারেই সেরে ফেললেন নতুন শিষ্যদের সাথে পরিচয় আর টুকটাক আলোচনা পর্ব। আর সেই পর্ব চুকিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন সাংবাদিকদের।
নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ সালের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। আর রাইটের চোখটা সেখানেই, ‘খুব বেশী সময় না হলেও আট মাসের মধ্যেই দলকে প্রস্তুত করতে চাই বিশ্বকাপের জন্য। এমন একটা দল চাই যারা নিজেদের উজাড় করে দিবে বিশ্বকাপের মঞ্চে।’
নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সবসময়ই উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্য বিভীষিকা স্বরূপ। বেশীদিন তো নয়, এ বছরের শুরুতেই বাংলাদেশ জাতীয় দল তিন ফরম্যাটের সিরিজেই ধবল ধোলাই হয়ে এসেছে কিউইভূমি থেকে। তবে রাইট এ নিয়ে চিন্তিত নন তেমন। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে বিশ্বকাপের মঞ্চে সাফল্য আসতে বাধ্য এমনটাই মনে করেন সাবেক এই অলরাউন্ডার। ‘শিরোপা জেতার যোগ্য দাবীদার বাংলাদেশ। খেলার স্থান বিবেচনা না করে কত দ্রুত কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া যায় সেটাই আমার দেখার বিষয়।’
নতুন এই ক্রিকেটারদের সাথে কাজ করতে অধীর আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছেন এমনটা উল্লেখ করে রাইট বলেন, ‘হোবার্ট হ্যারিকেনসের দায়িত্বে থাকা চার বছর নিঃসন্দেহে অনেক বড় এবং রোমাঞ্চকর ছিল। ক্রিকেটকে ভালবাসি আর নতুন ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করার আনন্দই আলাদা। বাংলাদেশী তরুণ ক্রিকেটারদের সাথে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।’
ভারত আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষের ত্রিদেশীয় সিরিজই হতে যাচ্ছে রাইটের প্রথম ‘অ্যাসাইনমেন্ট’। বুধবার রাতে দেশে ফিরে যাওয়া রাইট আবারও বাংলাদেশের বিমান ধরবেন জুনের শেষভাগে।