

টুর্নামেন্টের শেষ দিকে এসে সঞ্জিত সাহা নামের অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে টিম কম্বিনেশনের কারণে সুযোগ না পাওয়া সঞ্জিত খেলেছেন ভিক্টোরিয়ান্সের শেষ দুই ম্যাচে। কোয়ালিফায়ারে দারুণ বল করা এই অফ স্পিনারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময় সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। ২০১৬ সালের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সঞ্জিত সাহা সহ ১০ বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কথা উঠেছিল। পরে ২০১৬ সালের আগস্টে বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি পরীক্ষা করার পর জানিয়েছিল মইনুল ইসলাম, নাইম ইসলাম জুনিয়রের সঙ্গে সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন ত্রুটিহীন।
এখন অব্দি ১৪ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ৩৬ টি লিস্ট-এ ম্যাচ ও ২ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২১ বছর বয়সী ডানহাতি এই অফব্রেক বোলার। উইকেট পেয়েছেন যথাক্রমে ৩৪, ৩৭ ও ২ টি। এবারই প্রথম বিপিএলে খেললেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও অভিষেক রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচ দিয়ে।লো স্কোরিং ঐ ম্যাচে রংপুরের হারানো ১ টি মাত্র উইকেটটি তুলে নিয়েছিলেন সঞ্জিত।
কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্সকে ১৬৫ রানে থামতে বাধ্য করতে বড় ভূমিকা ছিল সঞ্জিত সাহার। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান হজম করে নিয়েছিলেন রবি বোপারার গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সঞ্জিত সাহা সম্পর্কে আজ ফাইনালের আগে কথা বলেন ইমরুল কায়েস।
তিনি বলেন, ‘সঞ্জিত সাহার কথা আপনারা বলতে পারেন ওকে আমরা প্রথমে খেলাইনি, সুযোগ ছিলনা। এখন যেহেতু সুযোগ এসেছে একটা পেসার কমিয়ে ওকে খেলানোর তাই ওকে খেলাতে পেরেছি। শেষ ম্যাচে (কোয়ালিফায়ার) ও অসাধারণ বল করেছে। আমরা ওর থেকে যা আশা করেছিলাম ও তাঁর চেয়ে বেশি ভালো বোলিং করেছে। ও যদি ওর মতো বোলিং করতে পারে তাহলে মিরপুরের উইকেটে ওকে খেলা খুবই কঠিন।’
ফাইনালে স্পোর্টিং উইকেট আশা করছেন ইমরুল কায়েস। যেখানে ব্যাটসম্যানদের সাথে বোলাররাও সুবিধা পাবে। সেক্ষেত্রে দর্শকরা উপভোগও করতে পারবেন।
‘আমি যেহেতু ব্যাটসম্যান, সেহেতু আমি সবসময়ই আশা করি যে ব্যাটিং উইকেট হবে। খুব করে চাইবো যেনো ব্যাটিং উইকেট থাকে। আবার পেসার, স্পিনারদের জন্য যদি সাহায্য না থাকে তাহলে তো ওদের জন্যও কষ্টকর। একটু স্পোর্টিং উইকেট হলেই বোধহয় ফাইনালটা সবাই উপভোগ করবে।’