

আর মাত্র এক ম্যাচ, সেই ম্যাচে জিতলেই শিরোপা জিতবে ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বাধীন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আর সেই ম্যাচ জিততে কুমিল্লার সামনে বড় বাঁধা হয়ে আসার কথা ঢাকা ডায়নামাইটসের ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর’ এর। সাকিব আল হাসান, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারাইন ও কাইরন পোলার্ড- এই চার অলরাউন্ডারের সবাই আলাদা করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।

ফাইনালের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া ইমরুল কায়েসকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ঢাকার চার কোয়ালিটি অলরাউন্ডার নিয়ে তাঁর বা তাঁর দলের কি পরিকল্পনা আছে।
ইমরুল বলেন, ‘প্ল্যানিংটা তো এখানে বলা যুক্তিযুক্ত হবে না। প্ল্যানিং টা আমাদের মধ্যেই থাকুক। আর হ্যা, সবার মাঝেই এক্সাইটমেন্টটা আছে। শুধু আমার একার মধ্যে আছে বললে ভুল হবে। বিপিএলের ফাইনাল খেলা, চ্যাম্পিয়ন হবার অনুভূতিটা সবাইই পেতে চাইবে। আমি একবার পেয়েছি। সবাইই ফাইনালটা খুব করে জিততে চাচ্ছে। সবাই নিজেদের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে সমৃদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর।’
ঢাকাকে এবারের আসরে দুই বারের দেখায় দুই বারই হারিয়েছে কুমিল্লা। দুই দফাতেই খেলেছেন চার অলরাউন্ডার। তাই বাড়তি কোন চাপ দেখছেন না ইমরুল।
‘দেখুন, আমরা ঢাকার বিপক্ষে দুইটি ম্যাচ খেলেছি। যেখানে কিন্তু ওদের চার অলরাউন্ডারই খেলেছে। আমরা কিন্তু দুই ম্যাচেই জিতেছি ওদের বিপক্ষে। আলাদা কোন পরিকল্পনা করার দরকার আছে বলে মনে করি না। মাঠে খেলার সময় পরিস্থিতি যখন সামনে আসে তখনই কি করতে হবে বোঝা যায়।’

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার (অলরাউন্ডার) শহীদ আফ্রিদির কাছে ফাইনালে অনেক আশা ইমরুলের।
‘আমাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। শহীদ আফ্রিদি আছে, সে জানে। অনেক ম্যাচ খেলেছে টি-টোয়েন্টিতে। আপনারা জানেন সে প্রথম থেকেই ভালো বোলিং করে আসছে। আমি আশা করবো ফাইনালেও ও ভালো বোলিং করবে।’
নিজেই আনফিট ছিলেন, তবে ফাইনালের আগে সেরেও উঠেছেন। ইমরুলের মুখে হাসি, ফ্রেশ হয়েই ফাইনালে নামবেন তিনি ও তাঁর সতীর্থরা।
‘এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত আমি নিজেও একটু আনফিট ছিলাম। আমি এটা রিকভারি করেছি। আমি আশা রাখছি কাল আমরা সবাই খুব ফ্রেশ থাকবো, ফ্রেশ হয়ে মাঠে নামবো।’