

বিপিএলের গত আসরে শেষ দিকে এসে বাজিমাত করেছিলেন রংপুর রাইডার্সের ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তার ব্যাটের উপর ভর করেই ফাইনালে ঢাকাকে হারিয়ে শিরোপার স্বাদ নিয়েছিলো রংপুর। সেই ঢাকার কাছে হেরেই এবার বিদায় বলতে হলো রাইডার্সদের। এবার পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ‘ঘুমন্ত’ ছিলো গেইলের ব্যাট, যার প্রভাব পড়েছে দলের উপর। এতে অবশ্য গেইলকে এককভাবে দোষারোপ করতে নারাজ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
বিপিএলের গত আসরে কোনোরকমে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছিলো সেবার নাম বদলে নতুন রূপে ফেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্স। খুড়িয়ে খুড়িয়ে এলিমিনেটর পর্বে উঠলেও পরে করেছিল বাজিমাত। ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে ৫৭ রানে হারিয়ে উঁচিয়ে ধরেছিলো শিরোপা। তাতে অবশ্য পুরো কৃতিত্বটা ছিলো গেইলের, সেবার পুরো মৌসুমে শান্ত থাকলেও ফাইনালে খেলেছিলেন ৬৯ বলে ১৪৬ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।
তবে বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুমে একেবারেই খোলস ছেড়ে বের হতে পারলেন না গেইল। চলতি আসরে থেকে তার দল বিদায় নেওয়ার আগে খেলেছেন ১২টি ম্যাচ। যেখানে; ১, ৮, ২৩, ৭, ০, ৫৫, ২, ১, ১০, ৩৫*, ৪৬ এরপর বাঁচা-মরার অলিখিত সেমিফাইনালে করেছেন মোটে ১৫ রান। সর্বসাকুল্য ২০৩ রান। যেইটা গেইল সূলভ না একেবারেই।
এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সের পরেও দলের সেরা এই তারকার অফ ফর্মে তার পাশে যেয়েই দাঁড়াচ্ছেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি। গেইল নিজের দিনে প্রতিপক্ষকে একাই তছনছ করে দিতে জানিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘আসলে একজনকে নিয়েতো খেলতে নামিনি আমরা, দায়িত্ব ছিলো সবারই। কুইক ইনিংস সবাই আশা করে এটাই স্বভাবিক। তবে দায়িত্বতো সবারই থাকে। দুর্ভাগ্যবশত ভাবে সব চেষ্টা সে করেছে, অনুশীলন করেছে, মানসিকভাবেও চেষ্টা করেছে। তবে ভাগ্য খারাপ যে ও ওর সেরাটা দিতে পারেনি।’
এই সাথে ম্যাচ হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে প্রথম তিন বা চার ওভার পর্যন্ত আমরা যেখানে ছিলাম ওখান থেকে অনেক রান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নাদিফ আউট হওয়ার পরের বলেই গেইল, তার পরেই বলে রুশোও আউট। ইনফর্ম প্লেয়ার রুশো আউট হওয়াতে অনেক ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু পার্টনারশিপ গড়ে আমরা ১২ ওভারে (১৩ ওভারে) ১০৪ রানের মতো করে ফেলেছিলা। তখন আমরা আবার খেলা ধরেছিলাম। শেষ ৪৮ বলে আমরা যদি ৭০ করতাম তাহলে হয়তো এই ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত।’
তিনি সাথে যোগ করেন, ‘আমরা বোলিং ভালো করছিলাম, বিশেষ করে এ উইকেটে। কিন্তু দুইবার খেলা ধরেও আমরা রাখতে পারিনি কাছে। বেশি ক্রুশাল মোমেন্টে উইকেট পড়েছে। শুরুতে যেমনটা মনে হচ্ছিলো, রানটা বেশি হওয়া উচিত ছিল। ১৮০-১৯০ হওয়া উচিত ছিল। যেভাবে আমরা শুরু করেছিলাম।’