

দুজন একই দলের হয়ে খেলছেন এবারের বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ)। একজন তো আবার দলের অধিনায়ক। তাহলে কিভাবে হবে তাঁদের মধ্যে লড়াই? আসলে লড়াইটা সুস্থ প্রতিযোগিতার, ভালো অর্থেই। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় উপরে আছে ঢাকা ডাইনামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোয়ালিফায়ারে ম্যাচসেরা হওয়া রুবেল হোসেনের নাম।
বিপিএল শুরু হবার আগে সংবাদ মাধ্যমের সামনে রুবেল হোসেন বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাই তো টি-টোয়েন্টি দলের (বাংলাদেশ) অধিনায়ক। এখানে আমি ভালো খেললে তার ফোকাস আমার দিকে আসবে। অবশ্যই আমি এখানে চাইব আমার সেরা ক্রিকেট খেলার জন্য। শুধু এখানেই নয়, যেখানেই ম্যাচ খেলি না কেন, শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি। ঢাকা (ঢাকা ডায়নামাইটস) দলে আমি এবারই প্রথম। আমি খুব বেশি রোমাঞ্চিত ঢাকার হয়ে খেলার জন্য।’
সাকিবের ফোকাস নিজের দিকে আনতে সফলই বলা চলে রুবেল হোসেনকে। ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৪ ম্যাচের সবকটিতে খেলা রুবেল হোসেন উইকেট পেয়েছেন ২১ টি। রুবেল হোসেনের চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন কেবল তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা (৩ জনই ২২ টি করে)।
তাসকিন আহমেদ ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন আগে ভাগেই। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে গেলবারের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। তাই মাশরাফি বিন মর্তুজার আর উইকেট সংখ্যা বাড়ার উপায় নেই।
সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবার দৌড়ে তাই আছেন মূলত সাকিব আল হাসান (২২) ও রুবেল হোসেন (২১)। এছাড়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন (১২ ম্যাচে ১৮ উইকেট) ও ঢাকা ডায়নামাইটসের সুনীল নারাইন (১৪ ম্যাচে ১৮ উইকেট) খেলবেন ফাইনালে। শীর্ষে আসতে তাঁদেরকে পেতে হবে অন্তত ৫ টি করে উইকেট।
গত বছরে জুলাইতে ক্যারিবিয়ান সফরে কুঁড়ি ওভারি ফরম্যাটে খুব খারাপ না করলেও এরপর আর রুবেল হোসেনের সুযোগ মেলেনি স্কোয়াডে। দেশের মাটিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে তিন ম্যাচেই ছিলেন একাদশের বাইরে। সেই রুবেলই এবার নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন দলকে। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তো ৪ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা। ফাইনালেও যদি অমন পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে সাকিবের সঙ্গে অলিখিত লড়াই জিতে যান রুবেল তাহলে সবচেয়ে বেশি খুশি হবার কথা সাকিবেরই।