

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নেমেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের বেশ পরিচিত মুখ নাদিফ চৌধুরী। তবে বাঁচা-মরার ম্যাচে দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে করে বসেননি আহামরি তেমন কিছু, সাথে হেরেছেও দল। তবে বড় মঞ্চে ১২ বলে ২৭ রানের ছোট্ট ইনিংসটা দিয়ে চিনিয়ে গেছেন নিজের জাত। এতেই মুগ্ধ বনে গেছেন রাইডার্সদের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।

একে একে ব্যর্থতার ষোলকলা পূরণ করেছেন রংপুর রাইডার্সের ওপেনার মেহেদি মারুফ। বাধ্য হয়ে আজ টুর্নামেন্টের অলিখিত সেমিফাইনালে মারুফের পরিবর্তে খেলানো হয় নাদিফকে। যেখানে ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচে টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত গেইলের সাথে ওপেন করতে এসে তাকে একপ্রান্তে দর্শক বানিয়ে রেখে নিজ ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে মিরপুর মাতিয়ে রাখেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
নিজেদের ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রতিপক্ষের অফ স্পিনার শুভাগত হোমকে গুনে গুনে মেরেছেন টানা তিন ছয়। শাসিয়েছেন রুবেল-রাসেলদের মত বোলারদেরও। তবে নিজের ইনিংসটা বড় করতে না পারলেও ৩ ছক্কা ও ২টা চারের সাহায্যে ১২ বলে ২৭ রানের ছোট্ট ইনিংসটি দিয়েই কুড়িয়েছেন বাহবা।
নাদিফের এমন আগ্রাসী ব্যাটিং বেশ মনে ধরেছে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফির। বয়সটা কদিন পরে ৩৩ এর কোটা ছুঁলেও এমন পারফরম্যান্স ধরে রাখলে বড় মঞ্চ তার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে বলে মনে করেন রাইডার্স দলপতি। আজ ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে নাদিফকে প্রশংসা বন্যাতে ভাসিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘নাদিফকে দেখে আমি সত্যিই অনেক বিস্মিত হয়েছি। সত্যি বলতে রুবেলকে ওভার দ্যা টপ খেলা, রাসেলকে পুল খেলেছে। অ্যাটলিস্ট চেষ্টা চালিয়েছে। একই সময়ে অফস্পিনে যেভাবে অ্যাটাক করেছে সত্যিই অসাধারাণ।’

একই সাথে তিনি আরও জানান, ‘এইটা সত্যি কথা যে অনেকেই চিন্তা করতে পারে নাদিফের বয়স হয়েছে আমাদের কাছাকাছি। তবে সত্যি বলতে এভাবে খেলতে পারলে সে আরও অনেকদিন খেলতে পারবে উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে।’

ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ অভিজ্ঞ হলেও টাইগারদের জার্সি গায়ে চাপিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি মানিকগঞ্জের এই ক্রিকেটার। ২০০৬ সালের শেষের দিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক হলেও নাদিফকে থামতে হয়েছে পরের বছরেই। তাতে এই ফরম্যাটে খেলেছেন মোটে ৩ ম্যাচ। যেখানে ৩ ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে করেছেন সর্বসাকুল্য ২৭ রান।