

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট, ঘরোয়া লিগ বা ফ্র্যাঞ্চাইজি। বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতামূলক যেকোনো ক্রিকেট আসরে নিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নামলেই যেন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফির দিকে ধেয়ে আসে চিরাচরিত একটা প্রশ্ন, আগামী আসরে একই মঞ্চে খেলতে দেখা যাবে তো নড়াইল এক্সপ্রেস কে? চলমান এই ধারার ব্যতিক্রম হয়নি আজও। পরে এর জবাবটা বেশ খোলাখুলিই দিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বয়সটা ছুঁয়েছে ৩৫ এর কোটা। তবে এই বয়সে যে কোনো ক্রিকেটার খেলা চালিয়ে যাননি বা যাচ্ছেন না, তেমনটাও আসলে না। তবে চোটের সাথে রীতিমত যুদ্ধ করা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক এবার নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য হিসাবে। সেটা নিয়ে মাস খানেক আগে সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলতে যেয়ে এর আগে তিনি নিজেই আভাস দিয়েছিলেন আর ছয়-সাত মাস ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার। সেহিসাবে দুইয়ে দুইয়ে মিলিয়ে নিলেই পরিষ্কার অনেকটা, ২০১৯ বিশ্বকাপের পরে হয়তো বিদায় বলবেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে।
এদিকে চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অলিখিত সেমিফাইনাল (কোয়ালিফায়ার) ম্যাচে আজ মাশরাফি খেলতে নেমেছিলেন টুর্নামেন্টে তারই নেতৃত্বে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল রংপুর রাইডার্সের হয়ে। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে যেই ম্যাচটা হারতে হয়েছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এতেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে মাশরাফির দলের।
ম্যাচ হারের পর এবারের আসরে নিজের দলের প্রাপ্তি ও হতাশার কারণ জানাতে নিজেই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলতে আসলেন অধিনায়ক। সেখানেই এক ফাঁকে তাকে প্রশ্ন করা হয় আগামী বিপিএলে কি খেলতে দেখা যাবে তাকে? জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহ্ সুস্থ রাখলে, বাঁচিয়ে রাখলে ইচ্ছা আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কি হবে সেইটা জানি না, তবে সবে মিলে মনে একটা ইচ্ছা ছিলো যে ২০ বছর ক্রিকেট খেলবো।’
তবে ক্রিকেট খেলে গেলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেইটা নিয়মিত করবেন কীনা সেই বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানালেন না তিনি, ‘শুধু যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তা না। ধরেন ঢাকা লিগ বা বিপিএল, এগুলা অনেক বড় টুর্নামেন্ট। এখান থেকেই সবাই জাতীয় দলে যায়। তো অনেক আগে থেকেই ইচ্ছে ছিলো ২০ বছর খেলার। হবে কীনা জানি না, তবে ইচ্ছা তো আছেই।’
একই সাথে মাশরাফি আরও যোগ করেন, ‘যদি সম্প্রতি বা পরবর্তী বছরে সময় মত হয় (বিপিএল) তাহলে সুযোগ থাকবে। কিন্তু আমি এখনই বলতে পারছি না। তবে আরও খেলার ইচ্ছে আছে, দেখা যাক।’