

রাজধানী ঢাকাতে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলতে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। নারায়নগঞ্জের ফতুল্লাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়ায় কালেভদ্রে। পূর্বাচলে স্টেডিয়াম হবে, সেটা ছাড়িয়ে যাবে অন্য সব দেশীয় স্টেডিয়ামকে। টক্কর দেবে বিদেশের অনেক স্টেডিয়ামের মানের সঙ্গে এমন স্বপ্ন বুঝি পূরণ হতে চলেছে।
শনিবার বিসিবি কার্য নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক শেষে ড্রিম প্রজেক্ট পূর্বাচল স্টেডিয়াম নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন। আগামী ৩ বছরের মধ্যে এই প্রজেক্ট শেষ করতে চায় বিসিবি, তাও নিজেদের খরচেই। সেক্ষেত্রে নাম মাত্র মূল্যে জায়গা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসিবি বস।
‘পূর্বাচলে ৩৭.৪৯ একর জমি আমরা পেয়েছি। সেজন্য বোর্ড মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। পুরোটা করবে বিসিবি। আমরা নিজেরাই করব, নিজ খরচে করব। যেহেতু আমরা চাচ্ছি স্টেট অব আর্ট স্টেডিয়াম হবে। দেখার মতো একটা জায়গা হবে। এটার ধারণ ক্ষমতা বেশি হবে। এবং এটার ডিজাইনের কারণে খরচ বেশি হবে। আমরা চাইছি একটা আইকনিক কিছু করব।’
সব ধরনের সুবিধা থাকবে পূর্বাচল স্টেডিয়াম মেগা প্রজেক্টে। ইনডোর, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম ছাড়াও পাঁচ তারকা মানের হোটেলও থাকবে সেখানে। লক্ষাধিক দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম হয়তো হবেনা পূর্বাচলে তবে অন্তত ৫০,০০০ দর্শক একসঙ্গে খেলা দেখতে পাবেন।
‘এই স্টেডিয়ামের সঙ্গে একাডেমি থেকে শুরু করে ইনডোর, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম যা যা লাগে সবই থাকবে। দর্শক ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ৫০ হাজার হবে। পাঁচ তারকা মানের একটা হোটেলও ওখানে চাচ্ছি আমরা। হোটেল আমাদের আওতায় থাকবে কিন্তু হোটেল আমরা বানাচ্ছি না। আগে স্টেডিয়াম নিয়ে কাজ করব।’
আন্তর্জাতিক মানের এই স্টেডিয়াম তৈরিতে আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র দিবে বিসিবি। বিসিবির ইচ্ছে, ৩ বছরের মধ্যে এই প্রজেক্টকে আলোর মুখ দেখানো।
‘আমরা ঠিক করেছি এটার জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট চেয়ে আন্তর্জাতিকভাবে দরপত্র দিব। বেসিক্যালি ডিজাইন এবং কনসালটেন্সির জন্য। তাদের নির্বাচন করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ করেছি। বোর্ডের লোক তো থাকবেই, বাইরের থেকেও বিশেষজ্ঞ এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করব। আগামী তিন বছরের মধ্যে এই স্টেডিয়ামটা সম্পূর্ণ করতে চাই।’