

বংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চলমান মৌসুমটা বাদ দিলে সর্বমোট ৫ বার মাঠে গড়িয়েছে বিপিএলের খেলা। যেখানে ৫ বারের ৪ বারই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে এবার যেন গ্রুপ পর্বেই ভাটা পড়তে বসেছিলো সেই স্বপ্নে। কিন্তু শেষের রোমাঞ্চটা যেন ঠিকই তুলে রেখেছিলো সাকিব আল হাসানের দল। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শেষ দল হিসাবে ঠিকই শেষ চারে জায়গা করে নিলো তারা।

বিপিএলের ষষ্ঠ মৌসুমে নিজেদের বিদায় ঘণ্টা আগেই বেজে গেছে খুলনা টাইটান্সের। অন্যদিকে পরের রাউন্ডে যেতে হলে আজ (শনিবার) খুলনার বিপক্ষে ম্যাচে জয় ভিন্ন কোনো রাস্তা ছিলো না ঢাকা ডায়নামাইটসের সামনে। সেই ম্যাচে টস করতে নেমে অবশ্য টস ভাগ্যটাও এদিন কথা বললো না ঢাকার হয়ে। তাইতো টসে জিতে ম্যাচে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন খুলনা টাইটান্সের দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান জুনায়েদ সিদ্দিকী ও ব্রেন্ডন টেইলর। কিন্তু টেইলরকে রেখে দলীয় ৮ রানেই ফিরে গেলেন জুনায়েদ।
এরপর ১৮ রান করা টেইলরকে সাকিব আউট করলে তার ১১ রান পর দলীয় ৩৩ রানের মাথায় মালানকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরের পথ দেখান পেসার রুবেল হোসেন। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাজমুল হোসেন শান্ত, তবে ব্যর্থ হলেন তারাও। ১৪ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহকে সরাসরি বোল্ড করে ২৩ রানের এই জুটি ভাঙেন ডায়নামাইটস পেসার কাজি অনিক।
সেখান থেকে শান্তর করা ২৪ রানের সাথে শেষদিকে আল আমিনের ১২ ও ডেভিড ভিসার ২৭ বলে ৩০ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১২৩ রান জমা করে খুলনা টাইটান্স। ঢাকার হয়ে রুবেল হোসেন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেন ২টি করে উইকেট।
সেরা চারের সাথে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত করতে ১২৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা টপকাতে নামে ঢাকা। সেখানে গতম্যাচে পাঁচে ব্যাট করলেও লঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গার সাথে আজ ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে পাঠানো হয় সুনীল নারাইনকে। দলের হয়ে উদ্বোধনি জুটিতে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন এ দুজন। মাত্র ২ ওভার ৪ বল থেকে গড়েন ৪৩ রানের পার্টনারশিপ। ৪টা চারের সাথে ২টা ছয়ের সাহায্যে ১২ বলে ৩৫ রান করা নারাইন আউট হলে ভাঙে ঢাকার প্রথম উইকেট জুটি।
এরপর অবশ্য খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি সাকিব। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় মাহমুদউল্লাহর রিয়াদের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে করেছেন ৬ বলে ১ রান। সাকিবের পরপরেই অবশ্য নতুন ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ফিরেছেন কোনো রান না করেই। সতীর্থদের আসাযাওয়ার ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা উপুল থারাঙ্গাও ব্যক্তিগত ৪২ রানে রিয়াদের বলে জুনায়েদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে খানিক বিপাকেই পরতে হয় রেকর্ড তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের।
তবে শেষ পর্যন্ত দলকে আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে ৩১ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ও কাইরন পোলার্ড। এই জয়ের ফলে রংপুর, কুমিল্লা ও চিটাগংয়ের পর চতুর্থ দল হিসাবে লিগের শেষ চার নিশ্চিত করলো ঢাকা ডায়নামাইটস। আর ঢাকার জয়ে হতাশ হয়ে এবারের টুর্নামেন্ট শেষ করতে হয় ডায়নামাইটসদের হারের দিকে তাকিয়ে থাকা রাজশাহী কিংসের।