

তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে টানা দুই শতকের সাথে শেষ ম্যাচেতো দলের হয়ে ওপেন করতে এসে অপরাজিত ছিলেন শেষ অবধি। এবার অপেক্ষায় ট-টোয়েন্টি, তবে ওয়ানডেতে যেখানে রেখে এসছিলেন আজ যেন ঠিক সেখান থেকেই নিজের ইনিংস শুরু করলেন উইন্ডিজের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান শাই হোপ। আর এতেই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথমটাতে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ সিলেটে হেসেখেলেই জয় তুলে নিলো সফরকারীরা।

১২০ বলের মা-র-কা-টা-রি ফরম্যাটে লক্ষ্যটা মোটে ১৩০ রানের। সেটাকে যেন আজ আরও মামুলি বানিয়ে ছাড়লেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা। যেখানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন ওপেনার শাই হোপ। দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এভিন লুইসকে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শুরুতেই স্বাগতিক বোলারদের উপর ধ্বংসলীলা চালান হোপ। পরে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন পুরানও।
প্রথম তিন ওভারে স্কোরবোর্ডে ৪৫ রান জমা করার পর চতুর্থ ওভারে সাইফউদ্দিনের বলে আউট হয়ে যান লুইস, খেলে যান ১১ বলে ১৮ রানের কার্যকরী এক ইনিংস। এরপর ব্যাট হাতে উইকেটে আসেন নিকোলাস পুরান, শুরু থেকে আগ্রাসীভাবে ব্যাট চালাতে থাকেন তিনিও। অন্যপ্রান্তে হোপ করতে থাকেন খুনে ব্যাটিং, মাত্র ১৬ বলেই তুলে নেন নিজের অর্ধশতকটা। ফলে পাওয়ার প্লের ৬ ওভার থেকেই দলীয় রান জমা হয় ৯১।
এরপর অবশ্য ব্যক্তিগত ৫৫ রানের সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে ফিরে যান হোপ। তবে এতে অবশ্য খুব একটা বেগ পেতে হয়নি সফরকারীদের। তারপর আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ৫৫ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে দলকে বিশাল জয় পাইয়ে দিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান ও কিমো পল। পুুুুরান ২৩ ও পল অপরাজিত থাকেন ২৮ রান নিয়ে।
Fastest T20I fifty –@YUVSTRONG12 – 12 balls@manuz05 – 14 balls
SHAI Hope- 16 balls@stirlo90, Myburgh, @henrygayle – 17 balls.#BANvWI #ShaiHope— Shihab Ahsan Khan (@shihabahsankhan) December 17, 2018
এর আগে আজ দুপুর সাড়ে ১২ টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ইনজুরির শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে টস করতে আসলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নিজেই। পরে টস ভাগ্যও হাসলো তার হয়ে। সিদ্ধান্ত নিলেন আগে ব্যাট করার। এরপর বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসলেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। কিন্তু শুরুটা রাঙাতে পারলেন না নিজেদের মত করে।
শেষ দুই ওয়ানডেতে ব্যাট টু ব্যাক অর্ধশতক হাঁকানো তামিম ইনিংসের শুরুতেই দলীয় ১১ রানের মাথায় আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৫ রান করে। এর ৬ রান পর একই পথের সারথি হলেন লিটন দাসও, তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। দলীয় ৩১ রানের সময় তিনে নামা সৌম্যকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান সফরকারী বোলার শেলডন কটরেল। এরপর সৌম্যর সমান ৫ রান করে মুশফিকুর রহিম রান আউটে কাঁটা পড়লে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
তবে সতীর্থদের যাতায়াতে মিছিলে শানানো তরো য়ালের মতই চলতে থাকে সাকিবের ব্যাট। একপ্রান্ত থেকে ঠিকই রানের চাকাটা সচল করে রাখেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে ২৫ ও আরিফুল হকের সাথে ৩০ রানের ছোট ছোট পার্টনারশিপে নিজের ৮ নাম্বার শতকটা তুলে নেন সাকিব। পরে ব্যক্তিগত ৬১ রানের মাথায় কটরেকলকে উড়িয়ে মারতে যেয়ে দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসাবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
পরে আর কোন ব্যাটসম্যান সুবিধা করতে না পারলে নির্ধারিত ওভারের আগেই মাত্র ১২৯ রানে অল-আউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল। ফলে উইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ালো ১৩০ রানের। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে মাত্র ২৮ রান খরচাতেই প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে নেন পেসার শেলডন কটরেল।