

সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ খেলে জাতীয় দলে জায়গা হারানো অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার চলমান ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) প্রথম রাউন্ডে হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। তৃতীয় রাউন্ডে দুই ইনিংসে অর্ধশতকের সাথে বল হাতে ইনিংসে তুলে নিয়েছে পাঁচ উইকেট। সেখান থেকে ফিরেই পরের দিন বিসিবি একাদশের হয়ে জিম্বাবুয়ের সাথে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে আবার সেঞ্চুরি। এবার আবার রান পেয়েছেন এনসিলের চতুর্থ রাউন্ড খেলেতে নেমেই।
তবে কি ক্যারিয়ারের সেরা সময়টার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সৌম্য সরকার? হবে হয়তো, তবে এমন সময়ে জাতীয় দলে জায়গা হারনোর জন্য নিজেকে কিছুটা অভাগা ভাবতেই পারেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ব্যাটে-বলে আলো ছড়াচ্ছেন।নিয়মিতই। কদিন আগেই এনসিলের তৃতীয় রাউন্ড শেষ করে পরের দিনই খুলনা থেকে রওনা করে সাভারের বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ে দলের সাথে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের নেতৃতে দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত শতক।
১৯ তারিখে সেই ম্যাচ খেলে ফিরেছেন আবার জাতীয় লিগে। খুলনাতে আজ আবার মাঠে নেমেছেন খুলনা বিভাগের হয়ে। এদিন টায়ার ওয়ানের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগের হয়ে মাঠে নামে সৌম্যর দল। টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মেহেদী হাসানের উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা। এরপর তিনে ব্যাট করতে আসেন সৌম্য। এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে শুরু করেন ইনিংস মেরামতের কাজ।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করে ১০১ রান। নিজের অর্ধশতক তুলে নিয়ে ইনিংসটা অবশ্য তিন অংকে রূপ দিতে পারেননি সৌম্য। ফরহাদ রেজার বলে ফরহাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৬৬ রানে। ১৪২ মিনিটের এর ইনিংসটাতে ৬৬ রান করতে সৌম্য খেলেছেন ৯৬ বল। যেখানে ৯টা চারের সাথে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১টি।

সৌম্য ফিরলেও অবশ্য ভালোই সামলাচ্ছিনেল এনামুল হক বিজয়। তবে নিজের অর্ধশতক পূরণ করার পর তিনিও পারেননি থিতু হতে। সানজামুলের বলে সাজঘরে ফেরার আগে করে গেছেন ৫৬ রান। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ৪ উইকেট হারানো খুলনার ইনিংস টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তুষার ইমরান ও নুরুল হাসান সোহান।