

গেলবছরের ২২ ডিসেম্বর খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এনসিএলের (ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ) দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে আউট হয়েছিলেন ১৯৪ রান করে। এবারে এনসিএলে প্রথম স্তরে উন্নীত হয়েছে শান্ত’র দল রাজশাহী। তবে ভাগ্য বদল হয়নি তাঁর। ডাবল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষমেশ ১৭৩ রানে ফিরেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম চার সেঞ্চুরির ইনিংসে কখনোই ১৫০ পার করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২৬ ছিল সেরা ইনিংস। গেলবছর ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে করা পঞ্চম সেঞ্চুরিকে বড় করেছিলেন তিনি। ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরিও হল বড়, তবে আক্ষেপ রয়েই গেলো। ডাবল সেঞ্চুরি যে এখনো পাওয়া হলোনা!

এমনিতে ভালো যাচ্ছিল না নাজমুল হোসেন শান্ত’র ফর্ম। ঘুরপাক খাচ্ছিলেন ব্যর্থতাঁর বৃত্তে। গত আগস্টে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছিলেন ৩৮ রানের ইনিংস। পরের তিন ম্যাচে তো ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কই। তামিম ইকবালের চোটের জেরে এশিয়া কাপের একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন বটে, তবে তিন ম্যাচে ৭, ৭ ও ৬; সাকুল্যে ২০ রান শান্ত’র নামের পাশে বড্ড বেমানান।
টানা ব্যর্থ শান্ত এনসিএলের প্রথম রাউন্ডেই রানে ফেরার আভাস দিয়েছিলেন। এক ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ পাওয়া শান্ত করেছিলেন ৪৬ রান। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে এসে তো করলেন সেঞ্চুরিই।

শান্ত’র ১৭৩ করার দিনে অবশ্য দাপুটে ব্যাটিং করেছেন মিজানুর রহমান। ২১৬ বলে ২২ টি চারের সাহায্যে ১৬৫ রান করেন তিনি। মিজানুর-শান্ত’র উদ্বোধনী জুটিতেই রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩১১ রান। আরিফুল হকের বলে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিজানুর। মাহমুদুল হাসানের বলে সাবস্টিটিউট ফিল্ডার সন্দ্বীপ সাহাকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত।
শান্ত আউট হবার পর অবশ্য আর কোন বিপদ হতে দেননি জুনায়েদ সিদ্দিকী ও ফরহাদ হোসেন। ৪১৯ রান স্কোরবোর্ডে তুলে দিন শেষ করে রাজশাহী। ৩৯ রান করে অপরাজিত জুনায়েদ, ২৬ রান করে অপরাজিত ফরহাদ।
আগের দিন ১৫১ রানেই অলআউট হয়েছিল রংপুর। রাজশাহীর হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন ফরহাদ রেজা ও মোহর শেখ। রংপুরের হয়ে একাই লড়েছিলেন নাইম ইসলাম। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৬০ রান। ৯৯ রান করে দিন পার করেছিল রাজশাহী। ৩৭ রান করে অপরাজিত্ ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন মিজানুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (২য় দিন শেষে)
রংপুর বিভাগ (১ম ইনিংস)
১৫১/১০ (৫৯.৪), লিটন ১৭, জাহিদ ৮, মাহমুদুল ১৮, নাইম ৬০, তানবির ০, আরিফুল ৫, ধীমান ০, শুভ ২৯, সাজেদুল ৫, সাদ্দাম ১*, শুভাশিস ০; ফরহাদ ৩৯/৩, মোহর ৩৭/৩।
রাজশাহী বিভাগ (১ম ইনিংস)
৪১৯/২ (১১৬), শান্ত ১৭৩, মিজানুর ১৬৫, জুনায়েদ ৩৯*, ফরহাদ ২৬*; আরিফুল ৫৬/১।