

হঠাৎ দমকা হাওয়াতে যেমন লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় সবকিছু। তেমনি এক অজানা কারণে বাংলাদেশ জাতীয় দলে চলছে চোটের মিছিল। এরই মধ্যে আবার দরজাতে কড়া নাড়ছে জিম্বাবুয়ে সিরিজ। চিন্তটা তাই একটু মাথা চাড়া দিচ্ছেই। তবে স্বস্তির খবর হলো আস্তে ধীরে পাঁজরের চোট থেকে সেরে উঠছেন মুশফিকুর রহিম। চালিয়ে যাচ্ছেন কঠোর অনুশীলন। বিশ্বাস রাখছেন এভাবে চলতে থাকলে ফিরতে পারবেন আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজেই।
সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে ইনজুরিতে পড়েও খেলে গেছিলেন গোটা টুর্নামেন্ট। সেখান থেকে ফিরে ছিলেন সাময়িক বিশ্রামে। এর মধ্যে চোটের জায়গাতে হয়েছে বেশখানিটা উন্নতি। তাইতো আর বসে থাকছেন না ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খ্যাতি পাওয়া এই টাইগার ব্যাটসম্যান। জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলতে মরিয়া মুশফিক মিরপুরে শুরু করেছেন রানিং। সেখানেই এখন ঘাম ঝড়াচ্ছেন নিয়মিত। এরপর কাল-পরশুর মধ্যেই শুরু করেবন ব্যাটিং অনুশীলন।
এই প্রসঙ্গে মুশফিক বলেন, ‘আশা করছি কাল-পরশুর মধ্যেই ব্যাটিংটা শুরু করতে পারবো। মোটামুটি হোপফুল, এইটাতেতো আর সার্জারি বা ওইরকম পার্যায়ের কিছু লাগবে না ইনশাআল্লাহ্। তো আমি আশা করছি আস্তে আস্তে খুব ভালোভাবেই ঠিক হয়ে যাবে।’

চোটে কারণে মাস তিনেকের জন্য ছিটকে যাওয়া সাকিবকে পাওয়া যাবে না এই সিরিজে, পাওয়া যাবে না সাত-আট সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া তামিম ইকবালকেও। তাইতো আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ খেলার মত ফিট থাকলেই মাঠে নেমে যেতে চান জানিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমি যেইটা মনে করি, যেকোনো ইনজুরিতেই পড়েন না কেনো আপনি সেখান থেকে ফিরে শতভাগ ফিট হয়ে কখনো মাঠে নামতে পারবেন না। এইটা যেকোনো ইনজুরির ক্ষেত্রেই।’
ক্যারিয়ারের সেরা সময়টাই বোধয় এখন পার করছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তাইতো দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে পাঁজরের চোটকে তুচ্ছ করেই সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপে মাঠে নেমে গেছিলেন মুশফিক। তবে হলো না এবারো, তীরে এসে ডুবলো তরি। আক্ষেপতো তাই থেকেই যায়। সেই আক্ষেপকে আড়াল করলেও না মুশফিক নিজেও। এই স্বপ্নভঙ্গের জন্য ফাইনালে নিজের ব্যাটিংটাকে দায়ী করলেন তিনি।

মুশফিক বলেন, ‘এবার খুব ভালো একটা সুযোগ ছিলো। আমরা চেষ্টাও করে যাচ্ছিলাম যাতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে কাপটা নিয়ে আসতে পারি। এতো কাছে যেয়ে হেরে যাওয়াতে আসলে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। ফাইনালে এমনটা হয়েছে আমাদের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কারণে। আপনি দেখবেন ফাইনালে যে উইকেট ছিলো, শুরুতে যে প্লাটফর্মটা মিরাজ আর লিটন দিয়েছিলো তাতে আসলে আমাদের উচিৎ ছিলো দায়িত্ব নেওয়া।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি অনেক ভালো ছন্দে ছিলাম, সেখান থেকে উচিৎ ছিলো আমার ইনিংসটা ক্যারি করার। একটা ভালো পার্টনারশিপ, ফিফটি প্লাস একটা জুটি হলে সবেমিলে ২৬০ এর উপরে স্কোর করা সম্ভব ছিলো। তেমনটা হলে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। কষ্টতো একটু হয়েছেই, তবুও এইটাও একটা অনুপ্রেরণা যে এরপর যখন যাবেন এর থেকে আরো ভালো করার চেষ্টা থাকবে।’