

পাকিস্তানের হয়ে শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৬ সালের আগস্টে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শেষ ওয়ানডে খেলা মোহাম্মদ হাফিজ টি-টোয়েন্টিতে অবশ্য ছিলেন ত্রিদেশীয় (অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে) সিরিজের পাকিস্তান দলে। ২ বছর পর যখন টেস্ট দলে ফিরলেন তখন রাঙালেন সেঞ্চুরি দিয়েই। অথচ বুড়ো তকমা পেয়ে অভিমানে ক্রিকেট ছেড়ে দিতেও চেয়েছিলেন তিনি।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট দলে ফেরার দিনেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ৫১ তম টেস্ট খেলতে থাকা মোহাম্মদ হাফিজের এটি ১০ম টেস্ট শতক। পাকিস্তানের হয়ে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল ১২ জনের। ইউনিস খান (৩৪), ইনজামাম উল হক (২৫), মোহাম্মদ ইউসুফ (২৪), জাভেদ মিয়াদাদ (২৩), সেলিম মালিক (১৫), আজহার আলি (১৪), ইজাজ আহমেদ, হানিফ মোহাম্মদ, জহির আব্বাস (১২), সাইদ আনোয়ার, আসিফ ইকবাল, আসাদ শফিক (১১)।
এই সেঞ্চুরি দিয়ে সেঞ্চুরির সংখ্যায় হাফিজ ধরে ফেললেন স্বদেশী মুশতাক মোহাম্মদ, মুদাসসর নজর ও মিসবাহ উল হককে। এদের প্রত্যেকেরই ছিল ১০ টি করে টেস্ট সেঞ্চুরি।

১৭২ বলে ১২ টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের রান পূর্ণ করেন হাফিজ। জন হল্যান্ডেরে বলে ২ রান নিয়েই সেঞ্চুরির উদযাপনে মাতেন এই ৩৮ ছুঁইছুঁই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপর সিজদাহ দিয়ে শুকরিয়া আদায় করেন সৃষ্টিকর্তার ওপর।
হাফিজের সেঞ্চুরি করার দিনে সেঞ্চুরির পথে আছেন ইমাম উল হকও। প্রথম দিনের চা বিরতি পর্যন্ত হাফিজ-ইমামের অবিচ্ছেদ্য উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ১৯৯ রান। ১৮৬ বলে ১৪ চারে ১১৩ রান করে অপরাজিত আছেন মোহাম্মদ হাফিজ। ১৮১ বল খেলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭৫ রান করে অপরাজিত ইমাম উল হক।

এর আগে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ ও অস্ট্রেলিয়ার টিম পেইন আজ ৮ম বারের মতো দুই উইকেটরক্ষক ক্যাপ্টেন হিসাবে টেস্টে টস করতে নেমেছিলেন।
আজকের ম্যাচে দুই দলের একাদশঃ
পাকিস্তান- ইমাম উল হক, মোহাম্মদ হাফিজ, আজহার আলি, আসাদ শফিক, হারিস সোহেল, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), বিলাল আসিফ, ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস ও ওয়াহাব রিয়াজ।
অস্ট্রেলিয়া- অ্যারন ফিঞ্চ, উসমান খাজা, শন মার্শ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, মার্নাস লেবুসচেঞ্জ, টিম পেইন (উইকেটরক্ষক ও অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, পিটার সিডল, নাথান লায়ন ও হল্যান্ড।