

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যা ৬ টায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক সমর্থকই অপেক্ষায় ছিলেন আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ (এপিএল) এর কান্দাহার বনাম নাঙ্গরহারের ম্যাচটি দেখার জন্য। তবে অপেক্ষায় জল ঢেলে দিয়েছে কান্দাহার। কারণ যার জন্য অপেক্ষা, সেই টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদকেই যে এদিন একাদশে রাখেনি দলটি। এনিয়ে অবশ্য পরে শুরুর ম্যাচে তাসকিনের না থাকার জানিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।

বিশ্বের ছোট-বড় প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট লিগগুলাতেই এখন অস্তিত্ব পাওয়া যায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের। লাল-সবুজের প্রতিনিধিত্ব করেন টাইগার ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিকতাতেই এবারও এপিএল খেলতে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেস বোলিং সেনসেশন তাসকিন আহমেদ। তবে তাসকিনের দল কান্দাহার নাইটস তাদের প্রথম ম্যাচে এই গতি তারকাকে না খেলানোতে অনেকেই নিজেদের হতাশা প্রকাশ করে কান্দাহার নাইটসের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পেজে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন কেন তাকে খেলানো হয়নি!
তাসকিন ভক্তদের এমন পাগলামো দেখে এর কারণ ব্যাখ্যা করেছে কান্দাহার। তাসকিন আহমেদ দলটির প্রধান গতিতারকা উল্লেখ করে নিজেদের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কান্দাহার অবগত করে, ‘তাসকিন আহমেদের অনেক ভক্ত প্রশ্ন করছেন কেন তাকে আজ খেলানো হয়নি। তাসকিন আহমেদ আমাদের প্রধান গতিতারকা তাছাড়া সামনে আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আছে যার কারণে তাকে খেলানো হয়নি।’
প্রতিযোগিতাটি দুবাইয়ে আয়োজন করছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। স্থানীয় আবহাওয়া মাত্রাতিরিক্ত গরম তাছাড়া দলগুলোর খেলার মাঝে নেই পর্যাপ্ত বিরতিও তাসকিনকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে কাজ করেছে এ কারণটিও বলে জানানো হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।
যেখানে তারা উল্লেখ করেছে, ‘দুবাইয়ের আবহাওয়া চরম মাত্রার গরম, তাছাড়া আমাদের পরপর খেলা রয়েছে যার জন্য কিছু মূল ক্রিকেটারদের আমরা বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কান্দাহার নাইটসের করা মন্তব্যটি দেখুনঃ
A lots of Taskin Ahmed fans is asking about him why he is not playing today.Taskin Ahmed is not playing because Taskin…
Geplaatst door Kandahar knight Fans op Zaterdag 6 oktober 2018
প্রসঙ্গত, তাসকিনের আগেই অবশ্য এই টুর্নামেন্টে দল পেয়েছিলেন টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তবে এই দুই ক্রিকেটার ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না একটা ম্যাচও। এরপর সুযোগ মিলেছিলো অলরাউন্ডার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুনেরও। তবে এপিএল খেলতে দেশ ছাড়ার অপেক্ষায় থাকা এই দুই ক্রিকেটারের একজনকেও অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেয়নি বিসিবি। তাইতো এপিএলের ভাবনা মাথা থেকে ঝেড়ে বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান আপাতত মনোযোগ দিচ্ছেন জাতীয় লিগে।