

কিছুদিন আগেই ওয়ানডেতে হয়েছেন আইসিসির এক নম্বর অলরাউন্ডার। লেগ স্পিন কারিশমাতে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঘাম ঝরিয়ে দেওয়া রাশিদ খান যে ব্যাট হাতেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তা আর কারো অজানা নেই। এই ধারণাটা পাকাপোক্ত করতেই যেনো এবারের এপিএলকে (আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ ) পাখির চোখ করেছেন সদ্য ২০ বছর পূর্ণ করা রাশিদ।
এপিএলে কাবুল জোয়ানানের অধিনায়ক রাশিদ খান। টুর্নামেন্টের শুরুর ম্য্যাচে বল হাতে উইকেট শূণ্য থাকা রাশিদ খান ব্যাট হাতে ১১ বল খেলে করেছিলেন ২ ছয় ও ১ চারে ২৪ রান। কাবুল ম্যাচ জিতেছিলো পাক্তিয়া প্যান্থারসের করা ২১৮ রান টপকে।
আজ আবার রাশিদ খানের কাবুল জোয়ানান মুখোমুখি হয়েছে মোহাম্মদ নবির নেতৃত্বাধীন দল বালখ লেজেন্ডসের। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে কাবুল।

শুরুটা ভালো হয়নি কাবুলের। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হযরতউল্লাহ জাজাই ও লুক রনকি ফিরে যান তিন ওভারের মধ্যেই। ৬ বলে ৭ রান করে আফতাব আলমের বলে বোল্ড হন জাজাই। ১০ বলে ১১ রান করে মোহাম্মদ নবির বলে বোল্ড হন লুক রনকি। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ফিরে যান কলিন ইনগ্রাম। তাকে ফেরান মিরওয়াইজ আশরাফ।
এরপর জাভেদ আহমাদি ও লরি এভান্স মিলে কাবুলের ইনিংসের গতি বাড়ান। ৪১ রানের এক কার্যকরী জুটি ভাঙে ১৮ বলে ২১ রান করে জাভেদ আহমাদী আউট হলে। শহিদউল্লাহ ২ বল পরেই ফিরলে ফের বিপাকে পড়ে কাবুল।

তখনই যেনো ত্রাতা হিসাবে আবির্ভাব হয় রাশিদ খানের। এসেই চার ছয় হাকাতে থাকেন তিনি। লরি এভান্সের সঙ্গে গড়েন ৯৬ রানের অনবদ্য এক জুটি। ৪৭ বলে ৪ টি করে চার ও ছয়ে ৬৪ রান করে থামেন এভান্স। তবে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন রাশিদ। ২৭ বলে ৩ চার ও ৫ ছয়ে ২০৭.৪০ স্ট্রাইক রেটে করেন ৫৬ রান। কাবুল নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করে ১৭৬ রান। বালখ লেজেন্ডসের হয়ে ২ টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ নবি ও আফতাব আলম।