

আঙুলের চোটের বর্তমান অবস্থা জানতে গতকাল (শুক্রবার) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্য দেশ ছেড়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সেখানে যেয়ে জানা যাবে অপরেশনের বিষয়ে। তবে এতটুকু নিশ্চিত যে ভাঙা আঙুলটা চাইলেও আর শতভাগ ঠিক হবে না সাকিবের। তাইতো প্রশ্ন থেকে যায়, আঙুল ঠিক না হলে সেটির প্রভাব কী পড়বে পারফরম্যান্সে? তবে আকরাম খান মনে করেন সাকিব লড়াকু, কষ্ট হলেও পারফরম্যান্স সে ধরে রাখবে।
চোটগ্রস্থ হাতের অবস্থা বুঝতে শুক্রবার রাত ১২টায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন টাইগার এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত হ্যান্ড সার্জন গ্রেগ হয়ের পরামর্শ নেবেন তিনি। তারপরই ঠিক হবে কখন অস্ত্রোপচার হবে তার বাঁ হাতের কনিষ্ঠায়। অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসককে দেখিয়ে পাঁচ দিন পর ফিরে আসার কথা সাকিবের। ইনফেকশন শূন্যতে নেমে আসলেই ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে পারবেন তিনি।

অস্ত্রোপচারের পর যদি প্রত্যাশিত সময়ের মধ্যেও সেরেও ওঠেন সাকিব, তবুও চোট পাওয়া আঙুলটা আর আগের জায়গায় তাঁর ফিরবে না। আঙুল যদি শতভাগ ঠিক না হয়, সেটির প্রভাব কী পারফরম্যান্সে পড়বে? এমন প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনি মেলার কথা না। অপেক্ষা করতে হবে সময়ের। তবে এইটা ঠিক যে, শরীরের যেকোনো অংশে বড় অস্ত্রোপচারের পর স্বাভাবিকভাবেই আগের জায়গায় ফিরে আসা কঠিন।
কিন্তু এই কঠিন কাজটা বারংবার করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। তাইতো সাকিবের প্রশঙ্গতে প্রশ্ন করা হলে মাশরাফিকে উদাহরণ হিসাবে টেনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান বলেন, ‘সাকিব ব্যথা নিয়েই যেভাবে ভালো খেলেছে, সে এক একজন যোদ্ধা। বিশ্বের অনেক বড় বড় খেলোয়াড় চোটে পড়ে খেলাই ছেড়ে দিয়েছে, মাশরাফি সেটা করেনি। সাকিবও লড়াকু, কষ্ট হলেও পারফরম্যান্স সে ধরে রাখবে।’

কেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের হাতে সংক্রমণ হলো, সেটির কারণ জানতে চাইবেন ফিজিওর কাছে। আকরাম জানান, ‘সাকিব ঝুঁকি নিয়েই গেছিলো এশিয়া কাপে। আলাপ-আলোচনা করেই হয়েছিলো সব। পরে ওর হাত দেখেতো আমরা ভয়ই পেয়েছিলাম! ইতিবাচক দিক হচ্ছে গুরুতর কিছু হয়নি। ফিজিওর সঙ্গে আমরা কথা বলব। হাতের অবস্থা এত খারাপ হওয়ার পরও সাকিব গিয়েছিল (খেলতে), ব্যাপারটা ফিজিও আগ থেকেই পরিষ্কার করে দিতে পারত। চোট খেলারই অংশ। খেলোয়াড়দের জন্য সেরাটা করার চেষ্টা করব। অস্ত্রোপচারের পর দেখি কী হয়।’