

কদিন আগে এশিয়া কাপে জাতীয় দল শেষ বলে হেরেছিল ভারতের কাছে। যুবাদের সামনে সুযোগ ছিল সেই কষ্টে প্রলেপ দেওয়ার। উল্টো তাদেরও জমা হয়েছে কষ্ট-গাঁথা। ম্যাচ শেষে কান্না করতে করতে ড্রেসিং রুমে ফিরেছেন সর্বোচ্চ ৫৯ রান করা শামীম। তার মাঝেই কথা বলার সময় বারবার আটকে যাচ্ছিলেন শামীম হোসেন। এক রাশ হতাশা নিয়ে জানালেন, ভারতের কাছে এমন হারের কষ্টটা বলে বুঝাতে পারবেন না তিনি।
অথচ জয়টা বাংলাদেশের জন্য খুবই সম্ভব ছিল। ১৫ ওভারে দরকার ৩৪ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট; বাংলাদেশের জন্য কাজটা খুবই সম্ভব। মিরপুরে উন্মাতাল গ্র্যান্ড স্টান্ড, দর্শকদের উল্লাস- সবকিছুই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। কিন্তু এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে সেখান থেকেই হারতে হলো ২ রানে। এক মুহূর্তের পাগলামিতে রান আউটে ম্যাচটা শেষ হয়ে গেল। আরও একবার তীরে এসে তরি ডুবল বাংলাদেশের। কথা হচ্ছে, এই আফসোস, এই আক্ষেপের শেষ কোথায়?
১৭৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে দ্রুত পাঁচ উইকেট হারানোর পর শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে টেনে তুলেছিলেন শামীম হোসেন। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৯ রান এসেছে তার ব্যাট থেকেই। শেষটা করে আসতে না পারায় অপরাধবোধে ভুগছেন তিনি। এমনকি ধরে রাখতে পারছেন না আবেগ,
‘এমন হারের কষ্টটা তো বলে বুঝানো যাবে না। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম, ম্যাচটা শেষ করে আসার (কান্না জড়িত কন্ঠে)।’
‘আমার লক্ষ্য ছিল আমি ম্যাচটা শেষ করে আসব। আমি যথেষ্ট চেষ্টা করেছি, আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমাদের ব্যাটসম্যানরা মোটামুটি ভালোই করেছে, কিন্তু ম্যাচ ফিনিশ করতে পারে নি। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি ছিল।’

ভারতীয় বোলিংয়ের সামনে বুক চিতিয়ে লড়েছিলেন শামীম। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ছবি: প্রথম আলো
‘এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ দলটি নতুন। সামনে আমাদের যেসব টুর্নামেন্ট গুলো হবে, আমরা চেষ্টা করব এই ছোট ছোট ভুল গুলো যেন পুনরায় না হয়। ’
তবে এবার না পারলেও শেখাটা বিফলে যাবে না মনে করছেন এই তরুণ, ‘অনেক কিছুই শিক্ষা নেয়ার আছে, আসলে হাটতে হাটতে মানুষ জয়ের পথে যায়, এটাই।’