

ইনিংস পরাজের শঙ্কা নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিলো ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ। নেমেও স্বস্তিতে ছিলো না খুব একটা। রাজশাহী বিভাগের প্রথম ইনিংসে তোলা রানের পাহাড়ের নিচে চাঁপা পড়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিলো লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে শেষ অবধি দলের বিপদ হতে দেননি ব্যাটসম্যানরা। তুষার ইমরানের পর দলের হাল ধরে ম্যাচ বাঁচিয়েছেন সৌম্য সরকার ও এনামুল হক বিজয়। ম্যাচে দুজনেই তুলে নিয়েছেন নিজেদের শতক।
এনসিএলের টায়ার ওয়ানের ম্যাচে রাজশাহীর শহিদ কামরুজ্জাম স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিলো দুই দল খু্লনা বিভাগ ও স্বাগতিক রাজশাহী বিভাগ। যেখানে ম্যাচের শুরুর দিনে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তুষার ইমরানের শতকে সাহায্যে ২১০ রানে অল-আউট হয়ে গেছিলো সফরকারীরা। রাজশাহীর হয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই স্বল্পতেই বেঁধে ফেলতে বড় ভূমিকা রাখেন দলটির পেসার শফিউল ইসলাম। তিনি একাই নেন ৫ উইকেট।
পরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মিজানুর রহমানের ১১৭ রানের সাথে দলীয় অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম অমির অপরাজিত ১৬৩ রানের কল্যানে অল-আউট হওয়ার আগে ৫৫২ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করাই রাজশাহী। খুলনার হয়ে মাত্র ৬৬ রান খরচাতেই ৭ উইকেট নিজের ঝুলিতে ভরেন স্পিনার আফিফ হোসেন ধ্রুব।

রাজশাহীর থেকে ৩৪২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের দল। ইনিংস হার এড়ানোর লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকাল নিজেদের শুরুটা খুব বেশি ভালো হয়নি খুলনার। দলীয় ২৪ রানেই ওপেনার রবি ও তিনে নামা আফিফের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর দলের হাল ধরেন তুষার ইমরান ও এনামুল হক বিজয়। তুষার ১০০ ও বিজয় ৭২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেন।

আজ শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের শতক তুলে নেন বিজয়ও, পরে ফরহাদ হোসেনের বলে আউট হয়ে ফেরেন ব্যক্তিগত ১১৩ রান করে। এরপর তুষারও ১৫৯ রান করে ফিরে গেলে দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন সৌম্য। দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে। পরে খুলনা দিনের খেলা শেষ করে ৭ উইকেটে ৪৬৭ রান করে। ফলে ড্রতেই খুশি থাকতে হয় দু’দলের। সৌম্য সরকার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১০৩ রান নিয়ে।