

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অনেকটা অনুমেয় ছিলো ম্যাচের ভাগ্য। তবে অপেক্ষা ছিলো শেষ দিনে এসে যদি মিরাকল কিছু করে বসেন চিটাগাংয়ের ব্যাটসম্যানরা। না, হয়নি তেমনটা। বরং শেষ দিনের শুরুতেই ঢাকা বিভাগের বলারদের কাছে খেই হারিয়েছেন সাইফউদ্দিন-তাসামুলরা। নারায়ণগঞ্জের লোকাল বয় শাহাদাত-অপুর বোলিংয়ে বিধ্বস্ত হয়ে গুটিয়ে গেছেন মাত্র ২৬৮ রানেই। ফলস্বরূপ ম্যাচ হারতে হয়েছে ২১৪ রানের বিশাল ব্যবধানে।
চলমান ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) এর প্রথম রাউন্ডে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় দুই দল ঢাকা বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিভাগ। সেখানেই ম্যাচের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিক ঢাকার বিপক্ষে সফরকারী চিটাগাংয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো ৩৪৬ রানে। হাতে ছিলো সাত উইকেট। তাইতো জয়টা অসম্ভব জেনেই ম্যাচ বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেও শেষ রক্ষা হয়নি অধিনায়ক মুমিনুল হকের দলের।

আগের দিনে রনি তালুকদারের ২২৮ ও আবদুল মাজিদের ১৩২ রানের কল্যাণে ১ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ৩৮৫ রান জমা করে ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। ফলে আগের রানের সাথে লিড দাঁড়াই ৪৮১ রানের। ৪৮২ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম স্বস্তিতে ছিলো না কালকেও। ১৩৫ রান তুলতেই তাঁরা হারিয়েছিলো দুই ওপেনারসহ টপ- অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে। সাদিকুর রহমান (২৪) ও ইরফান শুক্কুরের (২) সাথে ৬৬ রানে ফিরে গেছিলেন মুমিনুল হকও।
এরপর আজ ম্যাচের শেষ দিনে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের শুরুর ভালো আভাস দিলেও পেসার শাহাদাত হোসেন ও স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুর ঘূর্ণিতে চিটাগাংয়ের ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি খুব বেশি। তাসামুল (৩৮) ও সাইদ সরকার (১৬) কে ফিরিয়ে দিনের শুরুটা করেন অপু, এরপর এই বাঁহাতি স্পিনার আউট করেছেন উইকেট থিতু হয়ে যাওয়া মোহাম্মদ সাফউদ্দিনকেও (৬০)। তারপর শেষ দিকে শাহাদাতের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ২৬৭ রানের গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। ফলে ২১৪ রানে বিশাল জয় তুলে নেই ঢাকা বিভাগ।
ঢাকার হয়ে নাজমুল ইসলাম অপু একাই নেনে ৫ উইকেট। কম যাননি পেসার শাহাদাত হোসেনও, নিজের ঝুলিতে ভরেছেন ৪ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে শাহাদাত আট উইকেট পেলেও তাকে টপকে ম্যাচসেরা হয়েছেন ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার।