

৬৯ তম প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রনি তালুকদার। নিজের আগের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস (২২৭) টপকে ২২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নারায়নগঞ্জে জম নেওয়া রনি। রনি তালুকদারের ডাবল সেঞ্চুরি করার দিনে সেঞ্চুরি করেছেন আব্দুল মজিদও। দুজন মিলে ঢাকার হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েছেন ৩৫০ রানের অনবদ্য এক জুটি।
ফতুল্লায় জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে শক্ত অবস্থানে ঢাকা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে জুবায়ের হোসেন লিখনের পাঁচ ও নাইম হাসানের তিন উইকেট পাওয়ার দিনে ২৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় ঢাকা। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন রনি তালুকদার। তাইবুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান।

চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪২ রানে। পেসার শাহাদাত হোসেন আগুনে বোলিং করে নেন ৪ উইকেট। প্রথম ইনিংসেই ৯৬ রানের লিড পাওয়া ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে আধিপত্য বিস্তার করে রনি তালুকদার ও আব্দুল মজিদের ব্যাটে।
উদ্বোধনী জুটিতেই ৩৫০ রান তুলে ফেলে ঢাকা। ২৮৮ বলে ১৪ চার ও ২ ছয়ে ১৩২ রান করে থামেন আব্দুল মজিদ। সায়ীদ সরকারের ক্যাচ বানিয়ে মজিদকে ফেরান প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া জুবায়ের হোসেন লিখন। তবে লিখন কেনো, চট্টগ্রামের কোন বোলারই থামাতে পারেনি রনি তালুকদারকে। ২৫২ বল খেলে ১৮ চার ও ৭ ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ২২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন রনি। স্ট্রাইক রেট ৯০.৪৮।

আজকের ডাবল সেঞ্চুরি দিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেলেন রনি তালুকদার (২০১, ২২৭, ২২৮*)। বাংলাদেশের হয়ে এর আগে সর্বোচ্চ তিনটি করে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (২৮২, ২৫০ ও ২০০), তুষার ইমরান (২২০, ২১৭ ও ২০৩) ও অলক কাপালি (২২৮, ২১১ ও ২০০)।
৪৮১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ঢাকা। ৪৮২ রানের অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রাম স্বস্তিতে নেই। ৬৬ রান তুলতেই তাঁরা হারিয়েছে দুই ওপেনার সাদিকুর রহমান (২৪) ও ইরফান শুক্কুরের (২) উইকেট। প্রতিবেদন লেখার সময় ৩৬ রান নিয়ে ব্যাট করছিলেন মুমিনুল হক।